মাদারীপুর জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীরা এই ঘোষণা পাওয়ার পর থেকে কিছুটা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রতিফলন হতে পারে। মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কমিটির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা জানান, "এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের সুষ্ঠু কার্যক্রম নিশ্চিত করতে এবং দলের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে।" অন্যদিকে, মাদারীপুর জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, "কমিটি বিলুপ্তির এই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল এবং আমরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে আলোচনা করে সমাধান করতে চাই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করতে চাচ্ছে। তবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে, যা দলের সামগ্রিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মাদারীপুরে বিএনপি দলের শক্তিশালী অবস্থান থাকলেও এই ধরনের সিদ্ধান্ত স্থানীয় কর্মীদের মনোবল কমিয়ে দিতে পারে। এতে দলের কর্মীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হতে পারে এবং স্থানীয় পর্যায়ে দলের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিতে পারে।
বিলুপ্তির এই সিদ্ধান্তের ফলে স্থানীয় পর্যায়ে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তবে, এই প্রক্রিয়া কতটা সফল হবে তা নির্ভর করবে কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে স্থানীয় নেতাদের সমঝোতার উপর। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি স্থানীয় নেতাদের সাথে সুষ্ঠু যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, তবে এই সংকট কাটিয়ে উঠে দল পুনরায় সংগঠিত হতে পারবে।
এই প্রেক্ষাপটে, মাদারীপুরে বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কার্যক্রম কেমন হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে, দলের অভ্যন্তরীণ কাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে তারা নতুন কৌশলগত পথ খুঁজে পেতে পারে।