সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের সরাপপুর গ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার করুণ অবস্থার কারণে হাজারো মানুষ দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। মাত্র ৭০ থেকে ৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই রাস্তা আমজাদ মাস্টারের বাড়ি থেকে হাবিব ই আলম হবির বাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত, কিন্তু এর দুর্বল অবকাঠামোর কারণে স্থানীয়দের জীবনযাত্রায় সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই সামান্য অংশটির সংস্কার না হওয়ায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকরা প্রতিদিনই চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে ওঠে, ফলে পথচারীদের চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবহন ব্যবসায়ীরাও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। মৎস্যচাষি ও কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে পৌঁছাতে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এছাড়াও, এই রাস্তাটির আশপাশে একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি হাফেজি মাদ্রাসা, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, ঈদগাহ মাঠ এবং একটি কবরস্থান রয়েছে। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করেন। তবে ভাঙাচোরা ও কাদাযুক্ত রাস্তায় তাদের চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জরুরি রোগী বহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্সও প্রবেশ করতে পারছে না, যার কারণে চিকিৎসা সেবা প্রদানেও ব্যাঘাত ঘটছে।
এলাকাবাসীর দাবি, স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আনলেও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি তাদের আহ্বান, দ্রুততম সময়ে এই রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করা হোক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়া এই অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। সঠিক পরিকল্পনা ও তদারকির মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব। এছাড়া, স্থানীয় সরকারকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে যাতে জনগণের এই দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী না হয়।
এলাকার স্থানীয় নেতা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'জনগণের ভোগান্তি লাঘবে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করি শীঘ্রই এর সমাধান হবে।' তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, প্রতিশ্রুতির চেয়ে বাস্তব পদক্ষেপই তাদের ভোগান্তি কমাতে পারে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সরাপপুর গ্রামের মানুষের এই ভোগান্তি কাটাতে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।