এমরান আহমদ,
মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ভারতে কাজের খোঁজে গিয়ে আটক হওয়া আরও ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রবিবার (১১ মে) সকাল ১০টায় বড়লেখা থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
এর আগে একই ঘটনায় গত ৯ মে বিজিবি প্রথম দফায় ৪৪ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছিল। সব মিলিয়ে গত কয়েকদিনে সীমান্ত এলাকা থেকে মোট ৫৯ জনকে আটক করা হয়। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, ৭ মে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশের সময় তাদের আটক করা হয়। পরদিন আরও চারজনকে ধরার পর সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৫৯-এ। যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম ধাপে ৪৪ জনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং আজ হস্তান্তর করা হয় বাকি ১৫ জনকে।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন নারী-পুরুষ উভয়েই, যাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়—নড়াইল, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে। জানা গেছে, তারা কেউ কেউ এক-দুই বছর আগে কাজের উদ্দেশ্যে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যান। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করে এবং পরবর্তীতে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।
একাধিক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, ভারতের অভ্যন্তরে এখনো অনেক বাংলাদেশিকে পুশ ইন করার জন্য আটক করে রাখা হয়েছে। তাদের আশঙ্কা, একইভাবে আরও পুশ ইন ঘটতে পারে।
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান পিপিএম গণমাধ্যমকে বলেন, আজ নতুন করে সীমান্তে কোনো আটক নেই। তবে আগে আটক হওয়া যেসব নাগরিকের পরিচয় যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং বিজিবির টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, যেন আর কেউ অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করতে না পারে বা পুশ ইন-এর ঘটনা না ঘটে।
বড়লেখা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার সময় আত্মীয়-স্বজন থানায় উপস্থিতিতেই ১৫ জনকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে।