close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সিলেটের হোটেলে অনৈতিক কাজে অভিযুক্ত তিনজন গ্রেফতার

আরাফাত রশীদ  avatar   
আরাফাত রশীদ
সিলেটের মিরাবাজারে একটি হোটেলে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।..

 

সিলেটের মিরাবাজারে জাহান আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতয়ালী মডেল থানাধীন মিরাবাজারস্থ ওই হোটেলের নিচতলার ১০২ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন হুমায়ুন রশিদ (৩২), দেবেশ রঞ্জন চৌধুরী (৪৫) যিনি হোটেলের ম্যানেজার এবং সাগরিকা দেব (২৭)। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সিলেট মহানগরী পুলিশ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭৭ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে, নন এফআইআর নং ৩১৫, তারিখ ২৯/০৭/২০২৫। 

কোতয়ালী মডেল থানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'আমরা একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য পেয়েছিলাম যে এই হোটেলে অনৈতিক কাজ চলছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে এই তিনজনকে গ্রেফতার করি।' 

আটককৃতদের আজ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য তদন্ত চলমান রয়েছে। 

হোটেল ম্যানেজার দেবেশ রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হোটেলের কক্ষে এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহায়তা করতেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনার পর হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের প্রতি কড়া নজরদারি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। 

এ ধরনের ঘটনা সিলেটের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের সমাজ ও সংস্কৃতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সমাজকর্মীরা। তারা বলেন, 'এ ধরনের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে প্রশাসনের আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যাতে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় থাকে।' 

ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ধরনের অভিযান সিলেট শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

এদিকে, অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আদালতে তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

সিলেটের এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং হোটেলগুলোর কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বাড়ানোর দাবিও উঠেছে। একই সঙ্গে, হোটেল কর্তৃপক্ষেরও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Keine Kommentare gefunden