close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

শ্রদ্ধাহীন তরুণেরা, চিন্তিত অভিভাবকের চোখে রাস্তাঘাট

Jahid sumon Crime Correspondent avatar   
Jahid sumon Crime Correspondent
রিকশাচালকের চোখে তরুণ সমাজ: 'ভবিষ্যৎ ভাবলে কাঁপুনি ধরে'

ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে ওঠা রিকশাচালক মন্তাজ আলী তাঁর পেশাগত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের আচরণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে আসা এই মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি জানান, যাত্রীদের একটি বড় অংশ শিক্ষার্থী হলেও, তাঁদের কথাবার্তা ও আচরণে তিনি প্রায়শই হতাশ হন।

 

"আমার রিকশায় বসেই এমনসব কথা বলে, যা শুনে লজ্জায় কষ্ট পাই। কারও যেন পরোয়া নেই, আশেপাশে কেউ আছে কি না। ব্যবহার করে এমন ভাষা, যা রাস্তায় শোনা কঠিন,"—বলছিলেন তিনি, চোখে ছিল বিষণ্নতা।

 

তাঁর মতে, শুধু ভাষার ব্যবহারে নয়, সম্মানবোধেরও ঘাটতি রয়েছে। অনেক সময় যাত্রীরা বয়সের পার্থক্য না বুঝেই তুচ্ছভাবে সম্বোধন করেন, কেউ কেউ বিনা ভাড়ায় উঠার চেষ্টা করেন কিংবা নির্ধারিত ভাড়া দেওয়ার সময় অসদাচরণ করেন।

 

"আমিও তো কারও বাবা হয়ত হতে পারি। অথচ কেউ কেউ গন্তব্যে পৌঁছেও ঠিক ভাড়া দেয় না, কেউ কম দেয়, কেউ তো হুমকি দিয়ে চলে যায়। এমনকি একবার এক কিশোর হাত তুলে মারতেও আসে,"—বলেন তিনি।

 

এই অভিজ্ঞতাগুলো তাঁকে নিজের পরিবারের দিকেও চিন্তিত করে তুলেছে। "আমার নিজের সন্তানও তো বড় হচ্ছে। ভাবি, ওদের যদি এমন পরিবেশে বড় হতে হয়, তাহলে ভবিষ্যৎটা কেমন হবে?"—প্রশ্ন রাখেন মন্তাজ।

 

এই একজন মানুষের অভিজ্ঞতা হয়তো একটি ব্যতিক্রম হতে পারে, কিন্তু তা আমাদের সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মূল্যবোধ এবং শালীনতা নিয়ে এক জরুরি প্রশ্ন তোলে।

 

Aucun commentaire trouvé