উৎসবে অংশ নেয় শতাধিক ঘুড়িপ্রেমী। তারা হাতে করে নিয়ে আসে নানা আকৃতির ও বাহারি রঙের ঘুড়ি। বাক্স ঘুড়ি, হন ঘুড়ি, তেলেঙ্গা, দুয়ারিয়া, পঙ্খিরাজ, তারা, ড্রাগন, প্রজাপতি এবং ঈগল ঘুড়িসহ রঙিন ঘুড়িতে সেজে ওঠে আকাশ। এ সময় ঘুড়ি ওড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উৎসবের মাঠে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। ঘুড়ি দেখতে ভিড় করেন নানা বয়সী মানুষ।
প্রতিযোগিতা শেষে দুটি বিভাগে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। ‘সর্বোচ্চ উচ্চতা’ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন মোহাম্মদ হাসান এবং ‘সৌন্দর্য বর্ধন’ ক্যাটাগরিতে সেরা নির্বাচিত হন মোহাম্মদ শেখ জাহেদ, যার ঘুড়ি ছিল চার বক্সের আকর্ষণীয় একটি ঘুড়ি।
উৎসব দেখতে আসা নজরুল গবেষক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, “এই উৎসব আমাকে শৈশবের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়েছে। আজকের শিশুরা জানে না ঘুড়ি কীভাবে ওড়ে। ওরা বইয়ের পাতায় ঘুড়ি দেখে, বাস্তবে নয়। এই ধরনের উৎসবগুলো নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তি আর মাদকের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে পারে।”
আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য মহিবুল আরিফ জানান, “এবারের ঘুড়ি উৎসবে আমরা নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি। ছোটদের জন্য ছিল বাঁশি, চালের করই ও চালের গুঁড়ার তৈরি লাউ। সেরা ১০ জন প্রতিযোগীকে মিরসরাইয়ের লোগো সংবলিত টি-শার্ট উপহার দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এই উৎসব প্রতি বছর আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কারণ ঘুড়ি ওড়ানো শুধু খেলা নয়, এটা আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।