শব্দদূষণ   প্রতিরোধে  'লাউড  কালচারের' বিরুদ্ধে  সামাজিক  সচেতনতার  আহ্বান উপদেষ্টার..

Jahid sumon Crime Correspondent avatar   
Jahid sumon Crime Correspondent
শব্দদূষণকে ‘নীরব সহিংসতা’ আখ্যা দিয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘লাউড কালচারের’ বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার সময় এসেছে। আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি আচরণগত পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ..

 শব্দদূষণকে শুধুমাত্র পরিবেশগত নয়, সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিফলন হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

 

তিনি বলেন, শব্দদূষণ রোধে কেবল আইন প্রয়োগই যথেষ্ট নয়— প্রয়োজন আচরণগত পরিবর্তন ও ব্যাপক জনসচেতনতা। রাস্তার পাশে উচ্চস্বরে কথা বলা, অতিরিক্ত হর্ন বাজানো বা নিয়ন্ত্রণহীন মাইক ব্যবহারের মতো ঘটনাগুলো সাধারণত অবহেলিত হলেও এগুলো সমাজের জন্য ক্ষতিকর বার্তা দেয়।

 

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনী’ বিষয়ক পরামর্শমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘নিরব এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা বিমানবন্দর এলাকার ন্যায় সংবেদনশীল স্থানে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন অপরিহার্য। তিনি শব্দদূষণকে 'নীরব সহিংসতা' আখ্যা দিয়ে বলেন, এর প্রভাব মানবদেহ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক হতে পারে।

 

তিনি বিশেষভাবে তুলে ধরেন— মোটরসাইকেল, প্রটোকল বাহন কিংবা ব্যক্তিগত গাড়ি চালকদের দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন, কারণ অপ্রয়োজনীয় হর্ন বা জোরে গান বাজানো অন্যদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যাঘাত ঘটায়।

 

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান। কর্মশালায় সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, পরিবেশবিদ এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা অংশ নেন।

 

আলোচনায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন বাস্তবধর্মী পরামর্শ উঠে আসে, যা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়েও মত প্রকাশ করা হয়।

コメントがありません