নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর–দেলদুয়ার) আসনজুড়ে নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী, মানবিক চিকিৎসক ও সমাজসেবক ডা. এ.কে.এম. আব্দুল হামিদ।
জামায়াত সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ও ধলেশ্বরী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. হামিদ দীর্ঘদিন ধরে দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। পাশাপাশি শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাঁর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে।
দেলদুয়ারের ভোটার আব্দুল বাছেদ বলেন, “কারও বিপদে পড়লে ডা. হামিদ নিজেই ছুটে আসেন। তিনি শুধু নেতা নন, মানুষের সেবক।”
নাগরপুরের সহবতপুরের এক বৃদ্ধ ভোটার জানান, “আমরা তাঁকে ছোটবেলা থেকে চিনি। তিনি গরিবের ডাক্তার, মেহনতি মানুষের বন্ধু।”
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক মির্জা রাশিদুল হাসান জুয়েল বলেন, “ডা. হামিদ ভাইয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয় আমাদের হবে।”
ছাত্রজীবনে রংপুর মেডিকেল কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি থাকা এই চিকিৎসক পরে টাঙ্গাইল শহর জামায়াতের আমীরের দায়িত্বও পালন করেন। নির্যাতন ও হয়রানির মধ্যেও জনগণের পাশে থেকে সেবা দিয়ে গেছেন অবিচলভাবে।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। দুই পুত্রবধূ, এক ছেলে ও এক মেয়ে ডাক্তার; অপর ছেলে ব্যারিস্টার। তাঁর এই শিক্ষিত পরিবার স্থানীয়ভাবে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এক সাক্ষাৎকারে ডা. হামিদ বলেন, “রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। জনগণের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।”
নাগরপুর ও দেলদুয়ারজুড়ে এখন নির্বাচনী উৎসবের আমেজ। মাঠ পর্যায়ে চলছে উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও শোডাউন। তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণে উজ্জীবিত নির্বাচনী মাঠে এখন একটাই স্লোগান—
“পরিবর্তনের প্রতীক, মানবিক নেতা ডা. এ.কে.এম. আব্দুল হামিদ।”
এই মানবিক চিকিৎসক আজ টাঙ্গাইল-৬ আসনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নীতিনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে জনগণের আস্থার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছেন।



















