তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার পালালেও দেশকে ধ্বংস করে গেছে। অভিজ্ঞতা ও জনবিশ্বাসের শক্তিতে বিএনপি সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে পুনর্গঠন করতে সক্ষম হবে।
স্বৈরাচারী শাসন দেশের প্রতিটি সেক্টরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, যারা দেশের ক্ষতি করেছে তারা পালিয়ে গেলেও রেখে গেছে এক ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা। তবে বিএনপি পূর্বে দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, আর সেই অভিজ্ঞতাই এই সংকটময় সময় থেকে উত্তরণের মূল চাবিকাঠি হবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় তারেক রহমান বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপিকে বিশ্বাস করে, কারণ তারা জানে বিএনপি জনগণের ক্ষতি করে না। এই ভরসা ধরে রাখা এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করাই দলের নেতাকর্মীদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি জনগণের ভোটে সরকার গঠন করে, তাহলে সামনে বেশ কিছু বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। অর্থনীতি পুনর্গঠন, প্রশাসনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত সংস্কার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার— এসব হবে বিএনপির অগ্রাধিকার।
এদিকে, দীর্ঘ দেড় দশক পর নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল ব্যাপক উচ্ছ্বাস। শহরের প্রধান সড়ক, মোড় ও জনবহুল এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ডে সাজানো হয় উৎসবমুখর পরিবেশে। সম্মেলনে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা এসে ভিড় জমায়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান শাসনব্যবস্থা দেশের জনগণকে দমন ও শোষণ করে যাচ্ছে। তারা বলেন, একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপির নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তারেক রহমানের বক্তব্য ও সম্মেলনের পরিবেশ স্পষ্ট করে দিয়েছে, দলটি আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সক্রিয় হচ্ছে। নেতাকর্মীদের দৃঢ় বিশ্বাস— বিএনপিই পারবে ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে উদ্ধার করে নতুন এক গণতান্ত্রিক ও উন্নয়নমুখী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।