close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরার তালায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি ২০২৫-এর শুভ উদ্বোধন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে, যা পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার, (২১ জুন ২০২৫,) সকাল ১১ টায় তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। এই বনায়ন কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো পরিবেশ রক্ষা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল। তিনি একটি জারুল গাছের চারা রোপণ করে কর্মসূচির সূচনা করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, "এই বনায়ন কর্মসূচি পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।"

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক প্রিয়াঙ্কা হালদার এবং ১১ নম্বর জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু। প্রিয়াঙ্কা হালদার বলেন, "বনায়ন কর্মসূচি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।"

এই কর্মসূচির আওতায় তালা জেঠুয়া বাজার থেকে শ্রীমন্ত কাঠি বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকা নতুনভাবে বনায়নের আওতায় আনা হয়েছে। স্থানীয় জনগণকে এই কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মশালা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সামাজিক বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিএম মারুফ বিল্লাহ এবং তালা উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ ইউনুস আলী প্রমূখ। তাঁরা সকলেই এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি ২০২৫-এর আওতায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে স্থানীয় পরিবেশে উন্নতি সাধন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের পরিকাঠামোগত সহায়তা প্রদান করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের বনায়ন কর্মসূচি দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে পরিবেশ রক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে, যা তাদের জীবনের মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।

সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি ২০২৫-এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্যোগ আরও বেশি গ্রহণ করা উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

Không có bình luận nào được tìm thấy