close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরার তালা-কলারোয়ায় ধানের শীষের জোয়ার, ঐক্যবদ্ধ বিএনপি..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নাম ঘোষণার পর থেক..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

 
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নাম ঘোষণার পর থেকেই সরব হয়ে উঠেছে মাঠ। উপজেলায় উপজেলায়, ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত শুরু হয়েছে প্রচারণা, কর্মী সভা ও গণসংযোগ।


দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থিতা ঘোষণার পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছেন।

ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, মতবিনিময় সভা ও প্রচারণার মাধ্যমে ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে বিএনপির অবস্থান তালা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান বলেন, হাবিব ভাই আমাদের প্রিয় নেতা। তিনি অতীতেও এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। এবারও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করছি। জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. মফিদুল হক লিটু বলেন, হাবিব ভাই উন্নয়ন, শিক্ষা ও মানবিকতার প্রতীক। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ নন, সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গী। জনগণ তাকে ভালোবাসে।


খলিষখালি ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল হান্নান বলেন, আমরা এখন মাঠে সক্রিয়। জনগণ ধানের শীষ চায়, হাবিব ভাইকে আবার সংসদে দেখতে চায়।


স্থানীয় ভোটার মীর জিল্লুর রহমান বলেন, হাবিব সাহেব এলাকার উন্নয়নের প্রতীক। তিনি যখন এমপি ছিলেন, তখন রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ব্রিজ, এমনকি কপোতাক্ষ নদ খননের মতো কাজ করেছেন। মানুষ এখনো তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।


দলীয় সূত্র জানায়, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুই দফায় নির্বাচিত হয়ে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি তালা-কলারোয়ায় বহু উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করেন। এর মধ্যে রয়েছে পাটকেলঘাটা থানা স্থাপন, তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উন্নীতকরণ, কপোতাক্ষ নদে সেতু নির্মাণ, ৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ, এবং খালেদা জিয়া কলেজ (কলারোয়া) ও শহীদ জিয়া কলেজ (তালা) প্রতিষ্ঠা।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র থাকা অবস্থায়ই ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত হন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তিনি ছিলেন ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি ও ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে বিজ্ঞান ও মিলনায়তন সম্পাদক। পরে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি, এবং বর্তমানে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস. এম. লিয়াকত হোসেন বলেন, হাবিব ভাই সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটাররাও তাকে সমর্থন করেন, কারণ তার সময়ের উন্নয়ন সাম্প্রদায়িক সীমাবদ্ধতায় সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কাজ করেছেন।
তালা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, তালা উপজেলা  বিএনপি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি ধানের শীষের বিজয়ের জন্য।


কলারোয়া বিএনপি নেতা অধ্যাপক বজলুর রহমান বলেন তালা-কলারোয়ার মানুষ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের জন্য মুখিয়ে আছে। শুধু ব্যালট পেপার হাতে পাওয়া বাকি।


তালা উপজেলা বিএনপি সভাপতি মৃনাল কান্তি রায় বলেন, তালা-কলারোয়ার সার্বিক উন্নয়নের কারিগর হাবিবুল ইসলাম হাবিবই আবারও জনগণের রায় দিয়ে বিজয়ী হবেন।


বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, আমি তালা-কলারোয়ার মানুষের উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে চাই। জনগণ যদি আবার সুযোগ দেয়, তাদের প্রত্যাশা পূরণই হবে আমার মূল লক্ষ্য। দিন যত যাচ্ছে, ততই বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। সাতক্ষীরা-১ আসনে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা আরও জোরদার হচ্ছে, সক্রিয় হচ্ছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে তালা-কলারোয়া এখন ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ এক জনস্রোতের প্রতিচ্ছবি।

Walang nakitang komento


News Card Generator