close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভেজাল দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির কারখানায় ডিবি পুলিশের হানা বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ঘি সহ আটক ২..

এস এম তাজুল হাসান সাদ avatar   
এস এম তাজুল হাসান সাদ
****

সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভেজাল দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির কারখানায় ডিবি পুলিশের হানা বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ঘি সহ আটক ২

 

ছোট কাল থেকে দুধের ব্যবসা থাকলেও গত ৭ বছর যাবত ভেজাল ঘি ও দুধের কারবার করে আসছিলো সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের কমল ঘোষ ও তার ভাই দিলীপ ঘোষ। অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরী’র সময়

হাতেনাতে ধরা পড়েছে তারা। 

শনিবার (৫ এপ্রিল) দিনগত রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর এলাকায় এ অভিযান চালান। অভিযানে ২০ লিটার ভেজাল ঘি ও ২৬০ লিটার ভেজাল তরল দুধ জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরীর কাজে ব্যবহৃত কস্টিক সোডা, পামঅয়েল, সয়াবিন তেল, জেলী ও মেশিন জব্দ করে।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এর দিক-নির্দেশনায় ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওসি মোঃ নিজাম উদ্দীন মোল্যার তত্ত্বাবধানে এসআই রুবেল আহমেদ এর নেতৃত্বে, এসআই পিন্টু লাল, এসআই মিথুন ও এএসআই শিমুল পারভেজ সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় এই অভিযান পরিচালনা করাহয়। এসময় ভেজাল দুধের কারবারি কমল ও দিলীপ এসব বিষয় স্বীকার করেন। 

তারা বলেন, ৫০০ গ্রাম পরিমাণ দুধে ও ৫০০ গ্রাম পামঅয়েল দেয় এ’ছাড়াও সয়াবিন তেল ও একধরণের জেলী কাচামাল হিবেবে ব্যাহার করি। প্রতিদিন ৩-৪শ লিটার দুধ ও আধা মন ঘি তৈরি হয়। দুধ পুরোটায় মিল্ক ভিটা’য় দেয়। ঘি বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়।

কমল ঘোঘ বলেন, ছোট কাল থেকে দুধের ব্যবসায় করলেও ৫-৭ বছর যাবত এই ভেজাল কারবারে জড়েছেন সে। 

এই বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওসি মোঃ নিজাম উদ্দীন মোল্লা ঘটনাস্থল থেকে জানান, আশাশুনি থানা সীমান্ত এলাকা ও সাতক্ষীরা সদরের ফড়িং ইউনিয়নে বহুদিন ধরে দুগ্ধ জাতীয় ভেজাল পণ্য ঘি ও দুধ তৈরি করে আসছিলো অসাধু কারবারিরা। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকষ্মিক অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ, ঘি সহ ভেজাল কাজে নিয়জিত থাকা কালে হাতেনাতে দুই সহোদর কমল ঘোষ ও দিলীপ ঘোষকে আটক করাহয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ডিবি ওসি।

Nessun commento trovato