শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার গাঙ্কুলিয়া গ্রামে চলাচলের পথ জবরদখলকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীর শ্লীলতাহানীসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী আব্দুর রাশেদ (৩৪) এর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রবিবার (৬ জুলাই '২৫) রাত আনুমানিক ২টায় তার শ্বশুর আব্দুর রউফ ঢালী, শ্বাশুড়ি খায়রুন্নেছা বেগম এবং শ্বশুরের মাতা রোকেয়া খাতুন ঘুম থেকে জেগে দেখতে পান, গাঙ্কুলিয়া গ্রামে জনৈক আব্দুর রহিমের ধানের চাতালের পাশের দীর্ঘদিনের চলাচলের পথটি জবরদখলের চেষ্টায় মাটি কাটছে। নিষেধ করতে গেলে সংঘবদ্ধভাবে ৯জনসহ আরও ১০/১৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি লোহার রড, শাবল ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। এঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনজন।
অভিযোগে বলা হয়, বিবাদী মোঃ সুবহান ঢালী ধারালো দা দিয়ে আব্দুর রউফের মাথায় কোপ মারার চেষ্টা করলে তা চোখের নিচে পড়ে রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং বিবাদী মোঃ জাকির হোসেন রোকেয়া খাতুনের কান থেকে চার আনা ওজনের স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয় যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৬ হাজার টাকা। এছাড়া শ্বাশুড়ির পরনের কাপড় টেনে হেঁছড়ে শ্লীলতাহানিকালে চিৎকার শুনে স্থানীয় কয়েকজন সাক্ষীসহ আব্দুর রাশেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করেন।পরে আহতদের কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘটনার পর দিন সকাল থেকে উক্ত জায়গায় ঘর নির্মাণ ও পাকা প্রাচীর তৈরি করছে অভিযুক্তরা। তারা ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দিয়ে বলেছে "তাদের কাজে কেউ বাঁধা দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হারুন অর রশিদ মৃধা জানান অভিযোগ হাতে পেয়েছি তদন্তমূলক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। এদিকে সুবহান ঢালীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার জমির উপরদিয়ে তারা যাতায়াত করতো, একারণে আমার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে আসছে। তাছাড়া রউপ ঢালীরা আমাকে মেরে দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।