সাতক্ষীরায় পুনাকের উদ্যোগে উদযাপিত হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন করা হয়, যেখানে শিশুদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), সাতক্ষীরার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট ২০২৫) সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে অনুষ্ঠিত হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫ উদযাপন। এই উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে শিশুদের নিয়ে চিত্রাংকন, রচনা ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং এসএসসি ২০২৪-২০২৫ সালে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং সভানেত্রী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ রোকেয়া আখতার, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক), সাতক্ষীরা।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, “এই আয়োজনের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে দেশপ্রেম ও ইতিহাস সচেতনতা জাগ্রত করার পাশাপাশি শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করাও এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য।” তিনি আরও বলেন, “সৃজনশীল বিকাশে এমন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শিক্ষার্থীদের সাফল্যকে সম্মান জানানো ভবিষ্যতের পথচলায় তাদের উৎসাহ যোগায়। পুনাক, সাতক্ষীরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের গঠনমূলক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।”

অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মুকিত হাসান খাঁন, সহ-সভাপতি উম্মে হানি বিনতে কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মিথুন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শাহীনুর চৌধুরী সহ অন্যান্য পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থীবৃন্দ ও তাদের অভিভাবকরা।

আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটানো এবং তাদের শিক্ষাজীবনে উদ্দীপনা যোগানো হয়েছে। এটি পুনাকের একটি মহৎ উদ্যোগ যা সমাজের উন্নয়ন ও শিক্ষার অগ্রগতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে সমাজে শিক্ষার মান উন্নত হবে এবং শিশুরা হবে দেশপ্রেমিক ও সচেতন নাগরিক।

Nenhum comentário encontrado