সাতক্ষীরায় প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্ত মাহফুজার রহমান..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় মাহফুজার রহমান নামে এক ব্যক্তি এ বছরে প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা, ১৮ জুন ২০২৫ (আই নিউজ বিডি): সাতক্ষীরা জেলায় এ বছরের প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মাহফুজার রহমান (৬০)। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মাহফুজার রহমান সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজারবাগান এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা, ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, মাহফুজার রহমান বুধবার রাতে সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য আসেন। পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হলে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা জেলা আগে থেকেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। কিন্তু মাহফুজার রহমানের সংক্রমণ নতুন উদ্বেগের কারণ হতে পারে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

ডা. জয়ন্ত সরকার আরও জানান, "মাহফুজার রহমানের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদেরও পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুততম সময়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে।"

সাতক্ষীরা জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের এই নতুন সংক্রমণ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সমাজকর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করছে।

এদিকে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংক্রমণ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে আর্থ-সামাজিক ক্ষতি রোধে আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা জেলার জনসাধারণের মধ্যে সতর্কতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্থানীয় গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যম এবং বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। মাহফুজার রহমানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, করোনাভাইরাস এখনও আমাদের সাথে রয়ে গেছে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াইতে আমাদের সচেতনতা এবং প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

Ingen kommentarer fundet