শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নে জলবায়ু সহনশীল টেকসই কৃষি বিষয়ে একটি এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভাটি আয়োজিত হয়েছিল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিডো এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায়। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় যুবকরা, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
### ভূমিকা ও প্রেক্ষাপট
২৩ জুন, ২০২৫ তারিখে সকালে তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম। সভার সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা ইয়ুথ হাবের সভাপতি সাকিব হোসেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা, ইয়ুথ ফেলো লিপি চৌধুরী এবং অন্যান্য যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই সভায় অংশ নেন। প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুমন আচার্য্য প্রোগ্রামের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন।
### মূল বর্ণনা
সভায় আলোচিত হয়েছিল জলবায়ু সহনশীল টেকসই কৃষির চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান। যুবকদের সাথে কৃষি বিভাগের সংযোগ বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কৃষির উপর যে প্রভাব পড়ছে, তা মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন কৌশল গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়।
বক্তারা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু বান্ধব কৃষি চর্চার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে যুব কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়।
### প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা এবং অনিয়মিত বৃষ্টি এই এলাকার কৃষিকে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করছে। এডভোকেসি সভায় স্থানীয় কৃষকদের সাথে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলির যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়।
### ভবিষ্যৎ প্রভাব ও বিশ্লেষণ
এই এডভোকেসি সভার মাধ্যমে স্থানীয় যুবকদের কৃষিক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং তারা টেকসই কৃষি চাষে আগ্রহী হবে। কৃষি বিভাগের উদ্যোগে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ এবং বীজ তহবিল সরবরাহের মাধ্যমে যুবকদের কৃষি ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
### সমাজ-সাংস্কৃতিক প্রভাব
এই ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় যুবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ে সবুজ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবে। ইকো-ফ্রেন্ডলি কৃষি পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে তারা স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।
এই সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু বান্ধব কৃষির বাধা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা এবং এর সমাধান খুঁজে বের করা। যুবকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার মাধ্যমে এই উদ্যোগ সফল হতে পারে।



















