close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারকে অজ্ঞান করে সোনা ও নগদ অর্থ লুট..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে তিন সদস্যের পরিবারকে অজ্ঞান করে সোনা ও অর্থ লুটের ঘটনা ঘটেছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের কাশীশ্বরপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ জুলাই '২৫) দিবাগত রাতে চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে একটি পরিবারের তিন সদস্যকে অজ্ঞান করা হয় এবং তাদের বাড়ির জানালার গ্রীল কেটে লুট করা হয় প্রায় পাঁচ ভরি সোনার গহনা ও নগদ ৮৩ হাজার টাকা।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা রাত ১২টার পর এই কাজটি সম্পন্ন করে। অচেতন অবস্থায় থাকা শাহীনুর রহমান (৪৫), তার স্ত্রী মাসুমা পারভিন (৪০) এবং তার মা নুরুন্নেছা খাতুনকে (৭০) স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। শাহীনুর ও তার স্ত্রীকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। নুরুন্নেছাকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাকিলা খাতুন জানান, শুক্রবার রাতে খাবার পর তারা ঘুমিয়ে পড়েন। পর দিন সকালে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দরজা ধাক্কা দেন এবং তা খুলে যায়। এরপর তারা তিনজনকে অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। ঘরে তছনছ অবস্থায় শোকেস ও আলমারির কাচ ভাঙা এবং তালা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনা সম্পর্কে জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এই ঘটনাটি স্থানীয় জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করার দাবি উঠেছে। সমাজে এই ধরনের অপরাধ দমনের জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া, এলাকাবাসীকে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে এমন অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

コメントがありません