সাতক্ষীরায় বিষধর সাপের কামড়ে ঘের মালিকের মৃত্যু

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় সাপের কামড়ে ঘের মালিক আফসার আলী গাইন মারা গেছেন

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে মো. আফসার আলী গাইন (৫২) নামে এক ঘের মালিকের মৃত্যু ঘটেছে। গত ২৪ জুন রাত ১২টার দিকে আবাদচন্ডিপুর গ্রামে তার নিজস্ব মাছের ঘেরে পাহারা দেওয়ার সময় তিনি সাপের কামড়ের শিকার হন। 

আফসার আলীর পরিবারের সদস্য মুকুল হোসেন জানান, সাপটি তাকে কামড়ানোর পরপরই তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন এবং দ্রুত তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন সকালে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মঙ্গলবার (১ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনার পর আফসার আলীর পরিবার এবং স্থানীয় জনগণ শোকাহত হয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, শ্যামনগর সহ আশেপাশের এলাকায় সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। 

বিষধর সাপের কামড়ের কারণে মৃত্যুহার কমানোর জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল। সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। 

আফসার আলীর মৃত্যুর এ ঘটনা স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তারা সাপের উপদ্রব মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। 

আফসার আলীর মৃত্যু তার পরিবার এবং স্থানীয় জনগণের জন্য গভীর শোকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এবং তারা এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। 

এদিকে, স্থানীয় জনগণকে সাপের কামড় থেকে রক্ষার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে সাপের কামড় প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে এ বিষয়ে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Geen reacties gevonden