শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা শহর ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন'২৫) দুপুরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, '২৬৮ বছর পূর্বে ২৩ জুন পলাশীর আমবাগানে নবাব সিরাজউদ্দৌলা বনাম ইংরেজদের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্ত নেমেছিল। সেদিন অস্ত নেমেছিল যে স্বাধীনতা, তাকে আবার ফিরে পেতে ২০০ বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে বাঙালিদের।'
সভায় সভাপতিত্ব করেন শহর সভাপতি আল মামুন এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি মেহেদী হাসান। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি ইমামুল ইসলাম, শহর অফিস সম্পাদক নুরুন্নবী, অর্থ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, দাওয়াহ সম্পাদক শারাফাত হোসেন, প্রকাশনা সম্পাদক আল রাজিব, এইচ আর ডি সম্পাদক আনিছুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, 'পলাশীর প্রান্তে নবাবের পরাজয় আমাদের গোটা জাতির জন্য একটি বিরাট বড় শিক্ষা। হতাশাজনক হলেও সত্য, পলাশী যুদ্ধের পরাজয় থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আজও আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তৎকালীন সময়ে দেশের অধিকাংশ মানুষই শাসকশ্রেণি পরিবর্তনের ব্যাপারে উদাসীন ছিল, জাতির মধ্যে ছিল না কোনো ঐক্যবদ্ধতা। ফলে, রবার্ট ক্লাইভের সামান্য সামরিক শক্তি ও কূটকৌশলের কাছে বাংলা হারায় তার স্বাধীনতা। আমাদেরকে অর্জন করতে হবে জাতীয় ঐক্যের শক্তি। নিজেদের মধ্যে সকল প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ ও ভেদাভেদকে ভুলে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। দেশপ্রেমকে শুধু জাতীয় দিবসগুলো উদযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না।'
আলোচনার সমাপনীতে শহর শিবিরের সভাপতি বলেন, 'সদাসর্বদা আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত রাখতে হবে। প্রিয় জন্মভূমিকে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন থেকে মুক্ত রাখতে হলে সৎ, যোগ্য ও আদর্শবাদী দেশপ্রেমিক নাগরিক গঠনের লক্ষ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাহলে আর কখনো পলাশীর পটভূমি রচিত হবে না এ সোনার বাংলায়।'
এই আলোচনা সভার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা পলাশী যুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং তার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা এবং শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন, যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়ক হবে।