close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে জাতীয় আন্দোলনে এগিয়ে যাওয়ার অগ্রগতি..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় সহযোগিতায় নাগরিক, কর্মী এবং নীতিনির্ধারকরা একত্রিত হয়ে শক্তিশালী মানববন্ধন গড়ে তুলেছেন নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রগতি করতে..

শেখ আমিনুর হোসেন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা: বাংলাদেশের শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার জাতীয় আন্দোলনে সাতক্ষীরা আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

স্বদেশের নেতৃত্বে এবং কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (CLEAN) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED)-এর সহযোগিতায় আজকের কর্মসূচিতে নাগরিক, কর্মী এবং নীতিনির্ধারকরা একত্রিত হয়ে শক্তিশালী মানববন্ধন গড়ে তুলেছেন। ব্যানার ও স্লোগানের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে বাধা হয়ে থাকা জরুরি সমস্যাগুলোর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন—যেমন পুরনো অবকাঠামো, জটিল অনুমোদন প্রক্রিয়া, উচ্চ বিনিয়োগ ঝুঁকি এবং নীতিমালার অকার্যকর বাস্তবায়ন।

যখন বাংলাদেশের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি গ্রহণ করা ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য জরুরি হয়ে উঠেছে, তখন সাতক্ষীরার এই কর্মসূচি দেখিয়েছে যে কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতাগুলো এখনও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। ধীর প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, অর্থায়নের অভাব, দুর্বল গ্রিড অবকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য প্রকল্পের জন্য অসম্পূর্ণ ট্যারিফ নীতি এই পিছিয়ে পড়ার বড় কারণ। এই আন্দোলন কেবল বাধাগুলো চিহ্নিত করেনি, বরং একটি সবুজ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সুস্পষ্ট দাবি তুলেছে।

আন্দোলনের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: নবায়নযোগ্য প্রকল্পের দ্রুত অনুমোদনের জন্য একক সেবা কেন্দ্র স্থাপন; স্মার্ট গ্রিড প্রযুক্তি এবং নেট এনার্জি মিটারিং (NEM) বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিড আধুনিকীকরণ; জাতীয় বিদ্যুৎ খাতের বাজেটে কমপক্ষে ২০% নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য বরাদ্দ করা; দেশীয় ব্যাংকগুলোর জ্বালানি খাতের অর্থায়নের কমপক্ষে ২৫% নবায়নযোগ্য প্রকল্পের জন্য নির্ধারণ; নবায়নযোগ্য প্রযুক্তির ওপর আমদানি শুল্ক কমানো এবং ট্যারিফ শর্ত বাতিল; এবং "বিদ্যুৎ নেই, বিল নেই" নীতি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

স্বদেশ-এর দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, "এই আন্দোলন সাতক্ষীরার একটি সবুজ ও ন্যায্য ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ় সংকল্পের প্রকাশ। নীতিমালার সংস্কার শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত বিষয় নয়—এটি টেকসই জীবিকা, জলবায়ু সহনশীলতা এবং জাতীয় সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।"

ফোরাম অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সাতক্ষীরার আব্দুর সামাদ  বলেন, "জলবায়ু ঝুঁকির সম্মুখভাগে থাকা আমাদের মতো কমিউনিটির জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি টিকে থাকার প্রধান হাতিয়ার। এখনই সময় বাধাগুলো দূর করে সত্যিকারের টেকসই বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়ার।"

সারা দেশে গড়ে ওঠা ক্রমবর্ধমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরার এই শক্তিশালী দাবি বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন ও সহনশীল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলাকে আরও বেগবান করবে। 

কর্মসুচিতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ভূমিহীন কমিটির দপ্তর সম্পাদক স্বপন কুমার পান্ডে, বারষিক সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার মাহিদা মিজান ,যুব প্রতিনিধি জয় সরদার,জাহাঙ্গীর আলম সহ আরও অনেকে।

Inga kommentarer hittades