সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তন সচেতনতা নিয়ে বিতর্ক ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর (ডি.বি) মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন ও সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই '২৫) দিনভর চলা এই অনুষ্ঠানমালায় শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত রাষ্ট্র, কিন্তু ভুক্তভোগী উন্নয়নশীল রাষ্ট্র’। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে।

উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় আলোচিত বিষয়গুলো ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ ও প্রতিকার, শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোর দায়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় করণীয় এবং জলবায়ুর পরিবর্তন রোধে বৃক্ষের অবদান। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরে।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে ‘ধরণীর ডাক’ নামে একটি দেয়ালিকা, যা সম্পাদনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এসএম শহীদুল ইসলাম। দেয়ালিকাটিতে জলবায়ু উদ্বাস্তু, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ ও প্রভাবসহ শিক্ষার্থীদের লেখা কবিতা ও প্রবন্ধ স্থান পায়। বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মো. সরফরাজ নেওয়াজ সাগর ও প্রধান শিক্ষক মো. এমাদুল ইসলাম এতে বাণী প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমাদুল ইসলাম। তিনি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং তারাই ভবিষ্যতে এই পরিবর্তন মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে পারবে।”

অন্যান্য আলোচনায় অংশ নেন সহকারী প্রধান শিক্ষক অনুজিৎ কুমার মন্ডল, সহকারী শিক্ষক মো. হাফিজুল ইসলাম, শামীমা আক্তারসহ অন্যান্য শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এবং এর প্রতিরোধে ব্যক্তিগত ও সামাজিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করে।

অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জলবায়ু সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং তারা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হবে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली