close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় জলবায়ু অভিযোজন ও টেকসই জীবিকায়ন নিয়ে কর্মশালা..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে নিরাপদ পানি ও টেকসই জীবিকার উপর জোর দেয়া হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই জীবিকায়ন বিষয়ে এক বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জার্মান ভিত্তিক সংস্থা বিএমজেড ও ওয়েলহাঙ্গারহিলফি (ডবলুএইচএইচ) এর অর্থায়নে এবং ক্রিয়েটিভ পাথওয়েজ ও আনন্দ এনজিও এর আয়োজনে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই জীবিকার উন্নয়ন।

বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫ সালে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার (উপ সচিব) মাশরুবা ফেরদৌস। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় আমাদের প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি অভিযোজন পরিকল্পনা ও পরিবেশবান্ধব জীবিকার বাস্তবায়ন।'

আনন্দ এনজিও এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ আমিরুল ইসলাম কর্মশালার সঞ্চালন করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, ডাব্লু এইচ এইচ-এর হেড-অফ-প্রজেক্ট মোঃ জিয়াউল হক, মিল কো-অর্ডিনেটর মোঃ আলমগীর আহমেদ, কনসালটেন্ট মোহন কুমার দাস এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী।

বক্তারা বলেন, 'উপকূলীয় জেলাসমূহের মধ্যে সাতক্ষীরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে টেকসই জীবনব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন স্থানীয় বাস্তবতা অনুযায়ী পরিকল্পনা, কৃষির আধুনিকায়ন, বিকল্প জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি।'

কর্মশালায় নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, কৃষি ও বর্জ্য অপসারণ, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা আরও বলেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রতিরোধে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি। স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করা হলো এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য।

সাতক্ষীরার মত উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই কর্মশালা নতুন উদ্যোগ গ্রহণের একটি সূচনা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় শুধুমাত্র সরকারী উদ্যোগই যথেষ্ট নয় বরং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ আরো গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মশালা ও উদ্যোগের মাধ্যমে জলবায়ু অভিযোজন এবং টেকসই উন্নয়নের পথে সাতক্ষীরা একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।

No comments found