close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় ডিবি পরিচয়ে স্বামী নিখোঁজ: স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার ডিবি পুলিশ পরিচয়ে যশোর থেকে স্বামীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে যশোর থেকে তুলে নেওয়া স্বামীর সন্ধানের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী স্ত্রী মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন। সোমবার (০৪ আগস্ট '২৫) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

সাবিনা ইয়াসমিন জানান, তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় তারা যশোরের একটি ভাড়াবাড়িতে বসবাস করছেন। তার স্বামী মাসুম বিল্লা রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে কাজ করেন। গত ১ আগস্ট দুপুর ৩টার দিকে যশোরের সংকরপুর এলাকায় কাজ করার সময়, ৫-৬ জন ব্যক্তি নিজেদের সাতক্ষীরার ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মাসুম বিল্লাকে তুলে নিয়ে যান। সাবিনা অভিযোগ করেন, তারা একটি কার্ড দেখিয়ে তার স্বামীকে মারধর শুরু করেন এবং তারপর থেকে তার স্বামীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

সাবিনা উল্লেখ করেন যে, তার স্বামী কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে তাকে নিয়ম অনুযায়ী আদালতের মাধ্যমে জেলখানায় পাঠানো উচিত ছিল। তিনি আরও বলেন, ‘সাতক্ষীরার ডিবি পুলিশও জানে না তাকে কারা নিয়ে গেছে। আমার স্বামী কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিল না। তাহলে তাকে কেন এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো?’

তিনি জানান, তার স্বামী বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে নির্বাচন করেছিলেন। এ নিয়ে স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে বিরোধ হতে পারে, যা এই ঘটনার পেছনে থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন তার একমাত্র সন্তানসহ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তার স্বামীই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গত তিন দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন যেন তার স্বামীকে দ্রুত খুঁজে বের করা হয় এবং তাকে সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনা হয়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার কর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে কাউকে এভাবে তুলে নেওয়া খুবই উদ্বেগজনক। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের শাস্তির দাবি করেছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা কমিয়ে দেয়। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, এর ভবিষ্যৎ প্রভাব সমাজের স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

Tidak ada komentar yang ditemukan