close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় চাঁদা*বাজি ও জমি দখ*লের অভি*যোগে শরিফ ও রবিউল বাহি*নীর বিরু*দ্ধে সংবাদ সম্মেলন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে শরিফ ও রবিউল বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগে ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় শরিফ ও রবিউল বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। সোমবার (১১ আগস্ট '২৫) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বহু গ্রামবাসী। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ নুরুল গাজী, যিনি আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মতলেব গাজীর ছেলে এবং বড়দল ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। তার অভিযোগ, শরিফ ও রবিউল বাহিনী তাকে চাম্পাখালী মৌজায় ৮ শতক জমি ক্রয় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া, জোরপূর্বক তার ১৭ শতক ধানের জমি দখল করে নিয়েছে। প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এর বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। 

আরেক ভুক্তভোগী, মোঃ শহিদুল ইসলাম, জানান যে তিনি একজন কৃষক এবং তার পৈত্রিক ১ একর ৬৭ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে। জমি দখল এবং ধাওয়া করার ভিডিও ফুটেজ তার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। তিনি ও তার পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, এই বাহিনী বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে এভাবেই সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করতো এবং এখনও তারা জমি দখল ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে। 

মোঃ আব্দুল মজিদ গাজী নামের আরেক কৃষক অভিযোগ করেছেন যে গত ২৩ জুন ‘২৫ শরিফ, রবিউল ও গফুর গং তার ৬ বিঘা মৎস্য ঘের থেকে মাছ লুটপাট করেছে, যার মূল্য প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানায় অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

নূরুল গাজী আরও অভিযোগ করেন, শরিফ, রবিউল ও গফুর বাহিনী তার লীজ নেওয়া ১৬ বিঘা জমির আমন ধান জোর করে কেটে নিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে জমির মূল মালিক এসে থানায় রিপোর্ট করলে ধান ফেরত দেওয়া হবে। এরপরও ওই বাহিনী আজ সোমবার সকালে তার লীজকৃত জমিতে জোর করে কাজ করছে। 

এই সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা শরিফ ও রবিউল বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। একই সাথে জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দকেও তাদের দলীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। 

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমাজে সৃষ্ট নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কের অবসান ঘটাতে প্রশাসনিক পদক্ষেপের দ্রুততার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয় এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সাতক্ষীরার সাধারণ জনগণ এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অবসান চান এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন।

Ingen kommentarer fundet