close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় বিজিবির চোরাচালানে বিভিন্ন মালামাল জব্দ

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় বিজিবির চোরাচালানে বিভিন্ন মালামাল জব্দ হয়েছে, জব্দকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ১১ লাখ টাকা..

শেখ আমিনুর হোসেন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্তে বিজিবি'র চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, শাড়ি, থ্রিপিচ ও বোরকাসহ বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলার ভোমরা, ঘোনা, বৈকারী, কালিয়ানী, ঝাউডাঙ্গা ও কাকডাঙ্গা বিওপির আওতাধীন বিভিন্ন সীমান্ত থেকে রবিবার (২০ এপ্রিল '২৫) এসব মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ১১ লাখ টাকা। তবে, বিজিবি এসময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি। 

বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল ছয়ঘরিয়া নামক স্থান হতে ১০০ পিস ভারতীয় সিলডনাফিল (নেশাজাতীয়) ট্যাবলেট, ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল লক্ষীদাড়ি নামক স্থান হতে ২৪ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, ঘোনা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল ঘোনা পোস্ট নামক স্থান হতে এবং কালিয়ানী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল খৈতলা নামক স্থান হতে ও ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্প এর বিশেষ আভিযানিক দল চেকপোস্ট এলাকা থেকে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ঔষধ জব্দ করনে। 

এছাড়া কলারোয়া উপজেলার কাকাডাঙ্গা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল কেড়াগাছি নামক স্থান হতে ৩০ হাজার টাকা মূল্যর ভারতীয় শাড়ি, কাদপুর নামক স্থান হতে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় বোরকা ও ভাদিয়ালী নামক স্থান হতে ১ হাজার পিস ভারতীয় কাটাগ্রো (নেশাজাতীয়) ট্যাবলেট জব্দ করেন। জব্দকৃত মালামালের সর্বমোট বাজার মূল্য ১০ লক্ষ ৫০ হাজার ৬০০ টাকা। তবে, বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তারা তাদের আটক করতে সক্ষম হননি।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুল্কের ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা উক্ত মালামাল অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশ পাচার করার সময় তা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়রী করে পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা রাখা হয়েছে।

Tidak ada komentar yang ditemukan