close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় আশাশুনিতে খরচ যোগাতে না পেরে ২০ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি!..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরায় আশাশুনিতে সন্তানের খরচ যোগাতে না পেরে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন মা। বিস্তারিত জানতে পড়ুন..

শেখ আমিনুর হোসেন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় আশাশুনিতে সন্তানের খরচ যোগাতে না পেরে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন এক মা। ঘটনাটি সাতক্ষীরার আশাশুনির কাদাকাটি গ্রামে।

জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের শামীম হোসেনের চতুর্থ স্ত্রী আশামনি খাতুন (২৫) সন্তানের সুচিকিৎসা ও দুধ কিনতে না পেরে ১৪ দিনের নবজাতক শিশু খাদিজা খাতুনকে বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল '২৫) বিক্রি করে দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, কাদাকাটি গ্রামের সৈয়দ আলী সরদারের ছেলে শামীম হোসেন (২৮) তার স্ত্রী সন্তানকে ফেলে রেখে হোসনেয়ারা নামের আরেক নারীর সাথে আবারও ৫ম বিয়ের পিড়িতে বসেন।

আশামনি জানান, তার স্বামী তাদের ফেলে আবারও বিয়ে করায় সে তার নবজাতক শিশুর ঔষধ ও দুধ কিনতে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। এক পর্যায়ে নিজের সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন আশামনি। এই খবরে আশাশুনি উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের চা বিক্রেতা নি:সন্তান রবিউল-কাজল দাম্পতির কাছে নগদ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে লিখিতভাবে বিক্রি করেন।

আশামনি আরো বলেন, আমার সন্তানকে সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শিশুটির ক্রেতা চা বিক্রেতা রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী কাজল বলেন, আমরা দরদাম করে কয়েকজন সাক্ষীর সামনে শর্ত দিয়ে টাকার বিনিময়ে বাচ্চাকে কিনে নিয়েছি। বাচ্চার টিকা কার্ডে পিতা-মাতার নামের স্থানে আমার স্বামী ও আমার নাম দিয়েছি। জন্ম নিবন্ধন সনদে তার নাম রাখা হয়েছে ফারিয়া জান্নাতুল। সে আমাদের পরিচয়ে পরিচিত হবে।

এবিষয়ে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুল আরেফিন বলেন ঘটনাটি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

没有找到评论