সারাদেশে আলিম ও কারিগরি এইচএসসি পরীক্ষা আকস্মিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও পার্বত্য এলাকায় টানা বর্ষণ ও বন্যার কারণে কুমিল্লা বোর্ডেরও সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সারা দেশে চলমান আলিম এবং কারিগরি এইচএসসি পরীক্ষা আকস্মিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার, ৯ জুলাই রাতে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্ভরযোগ্য সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন এই স্থগিতাদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বা পরীক্ষা পুনরায় কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানানো হয়নি।
এই আকস্মিক ঘোষণার ফলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে মারাত্মক উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। পরীক্ষার প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জন্য এই সিদ্ধান্ত একপ্রকার ধাক্কার মতো এসেছে।
একই সময়ে, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। অতিভারি বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী এবং পরশুরাম অঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ফলে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ১০ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শামসুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর রুনা নাছরিন জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় সন্ধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে স্থগিত হওয়া এসব পরীক্ষাগুলো কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে কোনো নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি কেন্দ্র করে সারাদেশে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে যেমন হতাশা দেখা দিয়েছে, তেমনি কিছু অভিভাবক স্বাগতও জানিয়েছেন, বিশেষ করে যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চলে বসবাস করছেন।
নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়ার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্তকে অনেকে সময়োচিত বললেও, শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ এবং পড়াশোনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এখন পুরো দেশ অপেক্ষায় আছে, কবে আবার নতুন পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হবে, এবং পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে।