ফারুক হাসান বলেছেন, সাংবাদিক হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজত্বে নির্বাচন অসম্ভব। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে নিরপেক্ষ ভোট আয়োজন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশে যখন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নানা প্রস্তুতি চলছে, তখন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের প্রার্থী ফারুক হাসান এক চরম বাস্তবতা সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন—“একটি দেশে যখন সাংবাদিকরা প্রকাশ্যে খুন হয়, চাঁদাবাজরা নির্ভয়ে ঘুরে বেড়ায়, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নীরব থাকে—তখন সেখানে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।”
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আনন্দ র্যালি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফারুক হাসান বিশেষভাবে গাজীপুরে একজন সাংবাদিককে হত্যা করার ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন—“যদি কেউ চাঁদাবাজির ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে প্রাণ হারায়, তবে বুঝতে হবে আমরা কেমন ভয়াবহ সময় পার করছি। এমন নৃশংস পরিস্থিতিতে ভোটের কথা ভাবাও কঠিন।”
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের ঘোষিত নির্বাচন সময়সূচিকে সম্মান জানাই, কিন্তু সেটি তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন জনগণ, প্রার্থী, ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের কার্যক্রমে সে ধরনের কোনো ইচ্ছা বা প্রস্তুতির প্রমাণ পাচ্ছি না।
ফারুক হাসানের মতে, বর্তমান সরকার যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়, তবে দেশের মানুষ আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে নামবে। তিনি বলেন—“এই অবস্থায় গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”
শুধু সাংবাদিক হত্যা নয়, কৃষকদের দুর্ভোগ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। ফারুক হাসান বলেন—আমাদের এলাকায় কৃত্রিমভাবে সারের সংকট তৈরি করে কৃষকদের হেনস্তা করা হচ্ছে। প্রশাসন চোখ বন্ধ করে আছে। চাঁদাবাজি, দখলদারি ও হয়রানি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এ সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল বারেক সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আনন্দ র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়ে রাজনৈতিক সচেতনতায় নতুন মাত্রা যোগ করেন।