রেজাউল করিম আব্রার প্রশ্ন তুলেছেন—যারা সামান্য ফজলুলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না, তারা কীভাবে একটি বিশাল দেশকে পরিচালনা করবে?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিদিনই নতুন নতুন মন্তব্য, প্রশ্ন আর সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন রেজাউল করিম আব্রার। তিনি তীর্যক প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, “যারা সামান্য ফজলুলকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা কীভাবে একটি দেশ নিয়ন্ত্রণ করবে?”
তার এই বক্তব্য মুহূর্তেই আলোচনায় পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আব্রারের কথার ভেতর লুকিয়ে আছে গভীর বার্তা। ফজলুলকে প্রতীক হিসেবে দাঁড় করিয়ে তিনি আসলে বর্তমান নেতৃত্বের অযোগ্যতা, বিশৃঙ্খলা এবং নিয়ন্ত্রণক্ষমতার সীমাবদ্ধতাকে প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছেন। দেশের রাজনীতিতে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত, ভাঙন আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে সামনে এনে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন—যেখানে ছোট সমস্যাকেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, সেখানে পুরো জাতির ভার কীভাবে বহন করা সম্ভব?
অন্যদিকে সাধারণ জনগণের মধ্যে এই মন্তব্য নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এটি আসলেই একেবারে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন। কারণ দেশের অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এখন নানা সংকটে জর্জরিত। অথচ নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, দলাদলি ও ব্যক্তিগত স্বার্থপ্রবণতা দৃশ্যমান।
রেজাউল করিম আব্রার মন্তব্য শুধু একটি সমালোচনা নয়, বরং এটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে সতর্কবার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। তার মতে, যারা ছোটখাটো ইস্যু সমাধান করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে, তারা জাতিকে নিরাপদ ও সঠিক পথে পরিচালিত করার যোগ্যতা রাখে না। এটি শুধু রাজনৈতিক দলের প্রতি নয়, বরং পুরো নেতৃত্ব কাঠামোর উপর একটি মৌলিক প্রশ্ন তুলে ধরে।
রাজনৈতিক মহলে এরই মধ্যে প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ আব্রারের বক্তব্যকে প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী বলে মনে করছেন। আবার অনেকেই মনে করছেন, তার এ ধরনের মন্তব্য রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরও উসকে দিতে পারে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার—এই মন্তব্য সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং শাসনক্ষমতার প্রকৃত যোগ্যতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
বাংলাদেশের জনগণ বহু বছর ধরে একই প্রশ্ন করে আসছে—ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক দলগুলো কি সত্যিই দেশকে সঠিকভাবে চালাতে পারছে? নাকি ব্যক্তিস্বার্থ, দলীয় দ্বন্দ্ব আর অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার কাছে তারা বারবার পরাজিত হচ্ছে? আব্রারের বক্তব্য যেন সেই পুরনো প্রশ্নকেই নতুনভাবে সামনে নিয়ে এসেছে।
আজকের বাংলাদেশ এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনই রাজনৈতিক দলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর জনগণের কাছে একটাই উত্তর গুরুত্বপূর্ণ—যারা সামান্য সমস্যাও সামাল দিতে পারে না, তারা কি সত্যিই একটি দেশ চালাতে সক্ষম?