বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) খনিজ সম্পদ ও পরিবেশ সচিবের পক্ষে হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানিকালে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর ১৫ আগস্ট কোম্পানিগঞ্জ থানায় মামলা (নং-০৯) দায়ের করা হয়। এতে খনিজ সম্পদ আইন ছাড়াও দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট থেকে গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০০–২০০০ জন ব্যক্তি পাথর লুট করে নিয়ে যায়।
আদালতের নির্দেশে পরিবেশগত ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন্স), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে আহ্বায়ক করে
বুয়েটের একজন অধ্যাপকসহ ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এফিডেভিটে জানিয়েছেন, লুট হওয়া পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে, দায়ী ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়ন অব্যাহত রয়েছে এবং কোয়ারি এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন পত্রিকায় সাদাপাথর লুটপাটের সংবাদ প্রকাশের পর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে রিট দায়ের করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ১৪ আগস্ট রুল জারি করে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন, বিজিবি, র্যাবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ীদের তালিকা প্রণয়ন করে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া আদালত পরিবেশ সচিব ও খনিজ সম্পদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন, বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে পাথর অপসারণে পরিবেশের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে। পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিন-রাত তদারকির জন্য মনিটরিং টিম গঠন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।