রুমিন ফারহানার উত্তপ্ত মন্তব্য: হাসনাত আবদুল্লাহকে প্রকাশ্যে অশালীন ভাষায় আক্রমণ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন বিতর্ক—বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা প্রকাশ্যে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছেন। এতে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।..

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার একটি মন্তব্যকে ঘিরে। সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন। বিষয়টি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রুমিন ফারহানা বক্তব্য দিতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এনসিপি নেতাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে ‘ভণ্ডামি’ আখ্যা দেন। সেই সময় তিনি হাসনাত আবদুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য শব্দ ব্যবহার করেন, যা উপস্থিত অনেককে বিস্মিত করে তোলে। সভাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরাও এই মন্তব্য রেকর্ড করেন এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রুমিন ফারহানার এই মন্তব্য শুধু একটি ব্যক্তিকে নয়, বরং পুরো রাজনৈতিক সংস্কৃতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কারণ একজন জাতীয় পর্যায়ের নেত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের অশালীন ভাষা ব্যবহার সাধারণ মানুষ আশা করে না। অনেকেই বলছেন, এ ধরনের আচরণ গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর এবং এতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবমূর্তি আরও নষ্ট হবে।

এনসিপির নেতারা এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সংগঠনের সদস্যসচিব আক্তার হোসেন বলেন, “যে নেত্রী সংসদে বসে দেশের মানুষের কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন, তার মুখ থেকে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ ভাষা শোভা পায় না। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই এবং প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক জবাব দেব।”

অন্যদিকে, বিএনপির ভেতরেও এ নিয়ে ভিন্নমত তৈরি হয়েছে। দলের একাংশ মনে করছে, রুমিন ফারহানার এমন মন্তব্য বিএনপির চলমান রাজনৈতিক কৌশলকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। কারণ জনগণের সামনে নীতিগত অবস্থান থেকে বের হয়ে এসে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলে সেটি জনগণের আস্থা অর্জনের বদলে আস্থা হারানোর কারণ হবে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। অনেকেই সমালোচনা করে লিখছেন, “রাজনীতি যদি গালি-গালাজে নেমে আসে, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কী শিখবে?” আবার কিছু মানুষ রুমিন ফারহানার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলছেন, “রাজনীতিতে অনেক সময় উত্তেজনায় এমন মন্তব্য বেরিয়ে আসতে পারে, তবে সেটিকে বড় করে না দেখা উচিত।”

এই বিতর্কে হাসনাত আবদুল্লাহ এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই গণমাধ্যমে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরবেন।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি য ohnehin টানটান, সেখানে এ ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণ রাজনৈতিক মঞ্চকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এ ঘটনায় নতুন করে দলগুলোর মধ্যে বাকযুদ্ধ বাড়বে, আর সাধারণ মানুষ আরও হতাশ হবে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ দেখে।

Hiçbir yorum bulunamadı