জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, বিএনপির ভেতরে অনেকেই আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন, আর তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা। তার অভিযোগ, আওয়ামী সুবিধা নিয়ে চলেছেন রুমিন, তাই হাসিনার পতনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন তিনি।
হেডলাইন (বাংলা, SEO অনুযায়ী)
রুমিন ফারহানাকে ‘আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক’ আখ্যা, বিস্ফোরক অভিযোগ এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর
শর্ট ডিসক্রিপশন (বাংলা)
জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, বিএনপির ভেতরে অনেকেই আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন, আর তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা। তার অভিযোগ, আওয়ামী সুবিধা নিয়ে চলেছেন রুমিন, তাই হাসিনার পতনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন তিনি।
Short Description (English)
NCP leader Hasnat Abdullah has branded BNP’s Rumin Farhana as an “Awami Affairs Secretary,” claiming she benefited from Awami privileges and suffered the most from Sheikh Hasina’s downfall.
সম্পূর্ণ নিউজ (কপি-ফ্রি, বর্ধিত আকারে, ন্যূনতম দুই পৃষ্ঠা)
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিএনপির শীর্ষ নেত্রী রুমিন ফারহানাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, রুমিন ফারহানা আসলে বিএনপির হয়ে কাজ করলেও তার রাজনৈতিক অবস্থান ও কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী হিসেবেই প্রতিফলিত হয়েছে। এমনকি তাকে তিনি সরাসরি ‘বিএনপির আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক’ হিসেবেও আখ্যা দেন।
রবিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে হাসনাত আব্দুল্লাহ এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বিএনপির মধ্যে এমন অনেক নেতা রয়েছেন যারা প্রকাশ্যে বিএনপির হলেও বাস্তবে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেন। রুমিন ফারহানা তাদের অন্যতম। হাসিনার পতনের পরও তাকে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি ব্যথিত হতে। কারণ গত ১৫ বছর তিনি যেসব সুবিধা ভোগ করেছেন, সেগুলো আওয়ামী লীগের কাছ থেকেই পেয়েছেন।”
তিনি আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার কারণে রুমিন ফারহানা সবসময় আরাম-আয়েশে ছিলেন। এমনকি অতীতে শেখ হাসিনার কাছ থেকে ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। হাসনাতের মতে, “বিগত ১৫ বছর তিনি ভালোই ছিলেন—এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার তাকে যেসব সুবিধা দিয়েছে, সেগুলো উপভোগ করে তিনি ব্যক্তিগত জীবনকে আরামদায়ক করেছেন।”
এনসিপির এই নেতা সমালোচনার তীর ছুড়ে বলেন, “রুমিন ফারহানা আজ আওয়ামী লীগের থেকেও বেশি আওয়ামী লীগপন্থী আচরণ করছেন। তিনি নিজেকে বিএনপির পরিচয় দিলেও আসলে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী হিসেবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছেন।”
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হাসনাত অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান ইসি অতীতের মতোই বিতর্কিত কাঠামোর মধ্য দিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত। তিনি বলেন, “ইসি আজ আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য ফ্রি এক্সিট দিয়েছে, অথচ আমাদের নেতাকর্মীদের প্রবেশেই বাধা দিয়েছে। জনগণ এখন স্পষ্ট বুঝতে পারছে এই ইসি আর নিরপেক্ষ নয়।”
হাসনাত আরও মন্তব্য করেন, “হাসিনা সবসময় বলতেন—২০টা হুন্ডা, ১০টা গুন্ডা হলে নির্বাচন ঠাণ্ডা। কিন্তু আজকের বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে, পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিপক্ষের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। এভাবে নির্বাচন হলে তা কখনোই জনগণের গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।”
এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের মানুষ আর কোনোভাবেই সন্ত্রাস, দমননীতি বা অগণতান্ত্রিক রাজনীতিকে মেনে নেবে না। জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করছে। “মানুষ এক এগারোর মতো সামরিক শাসন বা নাটকীয় মঞ্চায়নের অপেক্ষায় নেই। তারা একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক উত্তরণ দেখতে চায়,” বলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “যদি ইসি প্রকৃত অর্থে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে চায়, তবে তাদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। পুলিশকে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ থেকে সরে এসে ন্যায়সঙ্গত দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্যথায় এই নির্বাচন জনগণের কাছে অবিশ্বাস্য হয়ে পড়বে।”
হাসনাত আব্দুল্লাহর এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে রুমিন ফারহানাকে সরাসরি আওয়ামী লীগপন্থী আখ্যা দেওয়ায় বিষয়টি বিএনপির ভেতরে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এমন মন্তব্য শুধু বিএনপি-আওয়ামী লীগ দ্বন্দ্ব নয়, বরং বিরোধী দলগুলোর ভেতরকার দ্বন্দ্ব ও বিভাজনকেও সামনে নিয়ে আসছে।
বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরনের অভিযোগ জনগণকে নতুনভাবে ভাবাচ্ছে। কারণ, যে কোনো নির্বাচনের আগে বিরোধী জোটগুলো একত্রিত হয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার কথা থাকলেও উল্টো তাদের অভ্যন্তরীণ বিভাজন আরও স্পষ্ট হচ্ছে। আর এই বিভাজন শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে—তা নিয়েই এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।