রুহিয়ায় সড়কের শুক নদীতে শহীদ জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত ব্রিজ আজ কালের সাক্ষী ..

শাহাজাদ ইসলাম avatar   
শাহাজাদ ইসলাম
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া সড়ক ধরে ১২ কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই চোখে পড়ে শুক নদীর ওপর নির্মিত একটি পুরোনো ব্রিজ।..

স্থানীয়দের কাছে এটি শুধু একটি ব্রিজ নয়, বরং এটি একটি কালের সাক্ষী। এই ব্রিজের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। স্থানীয় প্রত্যক্ষদোশীরা জানান , আশির দশকের শুরুতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঠাকুরগাঁও পরিদর্শনে এলে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগের কথা শোনেন যে শুক নদী পারাপারে তাদের চরম কষ্ট পোহাতে হতো।

মানুষের দুর্দশার কথা ভেবে সেই সময়ের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। শুধু তাই নয়, তিনি নিজে কোদাল হাতে নেমে পড়েন মাটি কাটায়। তার এই উদ্যোগ হাজারো সাধারণ মানুষকে এতটাই অনুপ্রাণিত করেছিল যে, তারাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দেয়। অল্প সময়ের মধ্যেই জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নদীর পানি জলধারা বহমান শুরু হয় সাথে এই এলাকার হাজারো কৃষকের স্বপ্নের ফসল ফোলাতে ব্যবহারযোগ্য হয় শত-শত হেক্টর জমি।

শুক নদীতে পরিদর্শনে এসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া দেখতে পান একটি পুরনো কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে হাজার হাজার পথচারীকে, তিনি হাজারো মানুষের সামনে প্রতিশ্রুতি দেন এই শুক নদীর উপরে একটি ব্রিজ নির্মান করা হবে। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট জিয়া ঢাকায় ফিরে সেই স্থানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং অল্প সময়ে শুক ব্রিজটি নির্মিত হয়।

আজও সেই দিনের কথা এলাকার প্রবীণরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তাদের কাছে এই ব্রিজ শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং প্রেসিডেন্ট জিয়ার জনদরদি মনোভাবের প্রতীক। শুক নদীর এই ব্রিজটি তাই ঠাকুরগাঁওয়ের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এটি শুধু একটি অবকাঠামো নয়, বরং জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধানের আন্তরিক সম্পর্কের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রয়ে গেছে । সময়ের স্রোতে অনেক কিছুই হয়তো বিস্মৃত হয়ে যায়, কিন্তু শুক নদীর এই ব্রিজটি প্রেসিডেন্ট জিয়ার সেই মাটি কাটার স্মৃতি আজও বহন করে চলেছে।

সেই সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে কোদাল দিয়ে শুক নদীতে মাটি কাটা বিষয় স্থানীয় প্রবীণ শওকত আলী, জোনাকি রায়, হেলাল এবং রুহিয়া থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মজাহারুল ইসলাম বাদল বলেন আমরা নিজে তখন উপস্থিত ছিলাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া নিজ হাতে কোদাল দিয়ে মাটি খনন শুরু করেছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার নিজ হাতে মাটি কাটা দেখে আমরা হাজারো মানুষ অবাক হই এবং সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ নেমে আসে নদী খননের কাজে।তারা ইতিহাস ঐতিহ্যের এই শুক নদীর ব্রিজটি পুনঃসংস্কার করার দাবি জানিয়ে বলেন আমাদের উত্তর জনপদে সেই সময়ের একজন রাষ্ট্র প্রধান এসে লাখো মানুষকে আলোর মুখ দেখিয়েছেন।

রুহিয়া থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল জব্বার বলেন, সেই সময় যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় তার প্রতিটি প্রদক্ষপ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিয়েছিলেন। দেশকে সমৃদ্ধির নিয়ে কাজ করার অংশ হিসেবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তার সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁও এর ঢোলারহাট এ শুক নদীর খনন শুরু করেন এবং তিনি নিজেই কোদাল দিয়ে মাটি কেটেছেন সত্যি একটি বিরল ইতিহাস ঐতিহ্যের বিষয়। তিনি আরও বলেন এই এলাকার জনগণ যুগ যুগ ধরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার কর্মে কৃতজ্ঞ থাকবে।

نظری یافت نشد


News Card Generator