close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

রড বোঝাই ট্রাক লুট, যুবদল কর্মীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
In Kabirhat, Noakhali, a Jubo Dal activist named Soleman Sujon has been expelled for life after being arrested in connection with a rod-laden truck robbery case.

নোয়াখালীর কবিরহাটে রড বোঝাই ট্রাক লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবদল কর্মী সোলেমান সুজনকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে উপজেলা যুবদল।

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় সংঘটিত একটি চাঞ্চল্যকর ট্রাক ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রড বোঝাই একটি ট্রাক ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সুন্দলপুর ইউনিয়নের যুবদল কর্মী সোলেমান সুজন। ঘটনার পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলা যুবদল তাকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে।

রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে সুন্দলপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন সুমন ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বহিষ্কৃত সুজনের সঙ্গে কোনো নেতা-কর্মী সম্পর্ক রাখলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা থেকে রড বোঝাই একটি ট্রাক ডাকাতি করে নিয়ে আসে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। শনিবার (৯ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে রড আনলোডের সময় কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে যুবদল কর্মী সোলেমান সুজন এবং তার সহযোগী আবু ছায়েদকে। সুজনের বাড়ি সুন্দলপুর গ্রামে, তিনি মফিজুর রহমান আনন্দ মাস্টারের ছেলে। আর আবু ছায়েদ কবিরহাট পৌরসভার উত্তর ঘোষবাগ গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।

ঘটনার পর রবিবার সন্ধ্যায় আটক দুইজনসহ মোট ১০–১২ জনের বিরুদ্ধে কবিরহাট থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।

ঘটনার বিস্তারিত জানাতে গিয়ে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, “শনিবার রাতে বাজার টহলের সময় সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তারা ড্রাইভার ও হেলপার পরিচয় দিয়ে দাবি করে, কুমিল্লা থেকে ডাকাতরা তাদের মারধর করে ট্রাক ও রড নিয়ে এসেছে। পরে গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করা হয়। আমরা সুন্দলপুরে গিয়ে রড বোঝাই ট্রাক উদ্ধার করি এবং দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করি।”

ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার দুইজনকে পরদিন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে রাজনৈতিক মহলে এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয় নেতাদের দাবি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলে দলীয় পরিচয় দিয়ে কেউ পার পাবে না। একই সঙ্গে দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষায় কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে।

Ingen kommentarer fundet