রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী নদীর পাড়ে সম্প্রতি একটি সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যা স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বৈঠকে কর্ণফুলী নদীতে নিয়মিত নৌ পুলিশের টহল এবং বেতাগী এলাকায় একটি নিরাপত্তা ফাঁড়ি স্থাপনের দাবি উত্থাপন করা হয়। বক্তারা এসব দাবিকে স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা হিসেবে অভিহিত করেন।
প্রশাসনের ভূমিকা ও জনআস্থা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে অতিরিক্ত ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রস্তাবও তোলা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান বলেন, “সবার সমন্বয়ে আমরা যদি নদী রক্ষা করতে পারি, তাহলে রাঙ্গুনিয়া শুধু পরিবেশ নয়—উন্নয়নেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।”
বৈঠকের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের একটি নতুন ধারা সূচিত হয়েছে বলে স্থানীয় মহলে মত প্রকাশ পাওয়া গেছে। এই ধরনের উদ্যোগ রাঙ্গুনিয়ায় রাজনৈতিক সৌহার্দ্য, সামাজিক সংহতি এবং টেকসই উন্নয়নের পথ উন্মুক্ত করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বৈঠকে বিভিন্ন দলের নেতা, প্রশাসন ও তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের এক মঞ্চে দেখা মিলেছে। বক্তারা বলেন, “নদী বাঁচলে কৃষি বাঁচবে, জীবিকা বাঁচবে, আর রাঙ্গুনিয়া বাঁচবে।” এই সর্বদলীয় বৈঠক তাই শুধু নদী রক্ষার নয়, বরং রাঙ্গুনিয়ার ঐক্য, প্রশাসনিক সহযোগিতা ও উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
রাঙ্গুনিয়ার মানুষ এখন আশাবাদী যে এই ধরনের উদ্যোগ এলাকার পরিবেশ ও অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নদী রক্ষায় এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র পরিবেশের জন্যই নয়, বরং এটি রাঙ্গুনিয়ার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।