ডাঃ এ.টি.এম. রেজাউল করিম, যিনি চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশে পরিচিত একজন 'কোভিড যোদ্ধা' হিসেবে, রাঙ্গুনিয়ার এই বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন ও মানবিক চিকিৎসক, কোভিড মহামারীর সময়ে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অসংখ্য মানুষের সেবা করেছেন। কোভিডের ভয়াবহ সময়ে যখন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো সংকট মোকাবেলায় পিছিয়ে ছিল, তখন ডাঃ করিম পার্কভিউ হাসপাতালে কোভিড ইউনিট চালু করেন। তাঁর এই উদ্যোগে অসংখ্য আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ চিকিৎসা ও আশার আলো পেয়েছিল।
ডাঃ করিমের জন্ম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর গ্রামে। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় স্থানীয় স্কুল থেকে, এরপর তিনি সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নেতৃত্বের গুণাবলী প্রদর্শন করেন এবং সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি।
পেশাগত জীবনে তিনি মানবসেবার বৃহত্তর লক্ষ্য নিয়ে অর্থোপেডিকস বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পার্কভিউ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন এবং ম্যাক্স ড্রাগ লিমিটেডের চেয়ারম্যানও।
ডাঃ করিমের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একাধিক সেবামূলক উদ্যোগ, যেমন ন্যাশনাল হসপিটাল ও সিগমা ল্যাব এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ। তিনি রাঙ্গুনিয়া হেলথ কেয়ার হসপিটাল এবং রাঙ্গুনিয়া ওয়েল কেয়ার ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
রাজনৈতিক অঙ্গনে, ডাঃ করিমের পথচলা শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। বর্তমানে তিনি রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার বিস্তারে নিবেদিত একজন জনপ্রিয় জননেতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (চট্টগ্রাম-৭, রাঙ্গুনিয়া আসন) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, যা তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি এবং জনগণের কল্যাণের প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
ডাঃ এ.টি.এম. রেজাউল করিমের জীবন এবং কাজের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি কেবলমাত্র একজন চিকিৎসক নন, বরং একজন সংগ্রামী নেতা ও সমাজসেবক, যিনি নিরলস প্রচেষ্টায় মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। তাঁর উদ্যোগ এবং মানবিক কাজের জন্য তিনি রাঙ্গুনিয়ার গর্ব এবং সমগ্র দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ডাঃ করিমের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর অবদান নিঃসন্দেহে রাঙ্গুনিয়া এবং সমগ্র দেশের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।