ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক শাখা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নসহ নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে বলে গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
ডিবির তথ্যমতে, গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে একাধিক মামলা রয়েছে এবং তারা দলবদ্ধভাবে হঠাৎ মিছিল, উসকানিমূলক কার্যক্রম ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সক্রিয় ছিলেন।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন—
১. মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ বেগম (৫০)
২. রমনা থানা যুব মহিলা লীগের সভাপতি হেলেন আক্তার (৫৫)
৩. আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সুমগ্ন করিম (৪০)
৪. ঢাকা মহানগর উত্তরের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান অঞ্জন (২৭)
৫. চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের প্রাক্তন ক্রীড়া সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য মো. সাজ্জাদ (৪১)
৬. ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল (৪৪)
৭. ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বাওয়ানী ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক আকাশ (৩০)
৮. ঢাকা মহানগর উত্তরের যুবলীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহীন (৪০)
৯. আনন্দবাজার ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিন্টু।
সোমবার (১২ মে) দিনব্যাপী বিভিন্ন সময়ে রাজধানীর ধানমণ্ডি, গুলশান, মগবাজার, যাত্রাবাড়ী, তেজগাঁও, দক্ষিণখান, ডেমরা, মিরপুর ও বংশাল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পৃথক অভিযানে ডিবির বিভিন্ন বিভাগের সদস্যরা ওই ব্যক্তিদের আটক করেন।
ডিবি জানায়, ধানমণ্ডি থেকে রাত প্রায় ১১টা ৪৫ মিনিটে মমতাজ বেগম, গুলশান থেকে সন্ধ্যা ৬টায় সুমগ্ন করিম, মগবাজার থেকে রাত ১০টায় হেলেন আক্তার এবং যাত্রাবাড়ী থেকে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে মাহমুদুল হাসান অঞ্জনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া তেজগাঁও থেকে বিকেল ৩টায় মো. সাজ্জাদ, দক্ষিণখানের কাওলা এলাকা থেকে বিকেল ৫টায় সাইফুল ইসলাম শাহীন, ডেমরা থেকে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে মোজাম্মেল হক আকাশ, মিরপুর থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে মো. বাবুল এবং বংশাল এলাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টায় মো. মিন্টুকে আটক করা হয়।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মো. বাবুলের বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।