close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

"জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ: পরিবর্তনে তারুণ্যের করণীয়"—চট্টগ্রামে সেমিনার..

MOHAMMAD JAMSHED ALAM avatar   
MOHAMMAD JAMSHED ALAM
****

মোহাম্মদ জামশেদ আলম
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট হল রুমে শুক্রবার (২৭ জুন) বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় একটি তাৎপর্যপূর্ণ সেমিনার—“জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ: তারুণ্যের ভূমিকা, সম্ভাবনা ও প্রভাব”। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (IIUC) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে এই সেমিনার আয়োজিত হয়, যেখানে দেশের সমসাময়িক রাজনীতি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তারুণ্যের ভূমিকা নিয়ে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য :

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী এফসিএ। তিনি বলেন: “জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়, যা গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই আন্দোলনে তরুণদের অংশগ্রহণ শুধু সাহসিকতার নয়, তা ছিল ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ।”

তিনি আরও বলেন: “আগামী দিনে রাজনৈতিক পরিবর্তন, উন্নয়ন ও সুশাসনের পথে সবচেয়ে বড় শক্তি হবে তরুণ প্রজন্ম। সুশিক্ষা, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে যদি তারা এগিয়ে আসে, তবে বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।”

সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা :

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ কায়েস, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব আশরাফুল হক।

বক্তাদের বক্তব্য ও বার্তা :

বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সচেতন, সুশিক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক তরুণদের উপর। এই তরুণরাই গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়ের প্রশ্নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।”

তাঁরা আরও বলেন, পরিবর্তনের জন্য শুধু আন্দোলন নয়, দরকার বাস্তবভিত্তিক চিন্তাভাবনা ও নেতৃত্ব গঠনের প্রশিক্ষণ। সেই দিকেই এগিয়ে যেতে হবে বর্তমান প্রজন্মকে।

উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ :

সেমিনারে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ছাড়াও চট্টগ্রামের রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ আয়োজনটি রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তরুণদের মাঝে জাতীয় ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনার দ্বার খুলে দেয়।

Nessun commento trovato