তবে নিয়মরক্ষার সেই ম্যাচকেও একপেশে বানিয়ে দিলেন বাংলার মেয়েরা। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটেই তারা গোল করেছেন ৬টি!
আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচে একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেননি বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার। আগের ম্যাচে মিয়ানমারের বিপক্ষে নামা দলকেই মাঠে নামান তিনি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল লাল-সবুজ শিবির। খেলার মাত্র ৩ মিনিটেই স্বপ্না রাণীর গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর শুরু হয় গোল বন্যা—৬ মিনিটে গোল করেন শামসুন্নাহার, ১৩ মিনিটে আবারও শামসুন্নাহার, ১৬ মিনিটে মনিকা চাকমা, ১৭ মিনিটে ঋতুপর্ণা চাকমা ও ২০ মিনিটে তহুরা খাতুন স্কোরলাইন করেন ৬-০।
এই ধাক্কায় গোলরক্ষকই বদলে ফেলতে বাধ্য হন তুর্কমেনিস্তানের কোচ।
এরপর খানিকটা গতি কমলেও থামেনি গোল। প্রথমার্ধের ৪০তম মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের সপ্তম গোলটি করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৭-০।
কাগজে-কলমে বাংলাদেশের জয়টা অনুমেয়ই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে জর্ডান, বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, এমনকি র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকেও হারিয়েছে বাংলার মেয়েরা। তাই তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে এমন দাপুটে জয়ে খুব একটা চমক নেই ফুটবলপ্রেমীদের জন্য।
বাংলাদেশের একাদশ:
রুপনা চাকমা (গোলরক্ষক), আফিদা খন্দকার (অধিনায়ক), শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, কোহাতি কিসকু, মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা, স্বপ্না রাণী, ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও তহুরা খাতুন।