close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা , নাহিদ ইসলাম..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Nahid Islam, Convener of the National Citizen Party, has alleged that allies of past autocratic regimes are still embedded in the administration, obstructing the rights and dignity of the families of ..

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দেশের প্রশাসনে এখনো স্বৈরাচারী শাসনের দোসররা রয়ে গেছে। শহীদ পরিবারদের সম্মান ও অধিকার পেতে বারবার বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

চট্টগ্রামের স্টেশন রোড এলাকার একটি মোটেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনো সেই স্বৈরাচারী শাসনের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। তারাই শহীদ পরিবারদের যথাযথ সম্মান পাওয়া থেকে বিরত রাখছে।

২০ জুলাই রোববার সকালে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রামে যাত্রাবিরতিতে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি এবং তাদের প্রতি দলের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা শহীদ পরিবারদের কাছে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করতে আসিনি। আমরা এসেছি একজন সহযোদ্ধা হিসেবে—যাঁরা আন্দোলনে ছিলেন, যাঁরা পরিবার হারিয়েছেন—তাদের পাশে দাঁড়াতে। শহীদরা কোনো দলের ছিলেন না, তারা ছিলেন বাংলাদেশের। দেশের জন্য তারা জীবন দিয়েছেন, সেই আত্মত্যাগ কোনো দলের নয়, এটা জাতির।

তিনি বলেন, আমরা যখন সরকারে ছিলাম, তখন শহীদ পরিবারদের কল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু মাঠপর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রশাসনের এক শ্রেণির কর্মকর্তার কাছে বারবার বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এসব কর্মকর্তা আজও স্বৈরাচারী মানসিকতা লালন করছেন।

নাহিদ ইসলামের দাবি, এখনো দেখা যায়, শহীদ পরিবারদের সম্মান দেয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের একটি অংশ অদৃশ্য বাধা তৈরি করে। এটা কেবল দুঃখজনক নয়, চরম অন্যায়ও বটে। আমরা এসব বিষয়ে নিয়মিত অভিযোগ পাচ্ছি এবং দলীয়ভাবে শহীদ কল্যাণ সেল ও আহত সেল থেকে প্রতিনিয়ত সহায়তা করার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন শুধু ক্ষমতার জন্য নয়, বরং ইতিহাস, ত্যাগ আর সম্মান বাঁচানোর জন্য। আমরা চাই প্রশাসনে যারা এখনো স্বৈরাচারের আদর্শ ধরে রেখেছে, তাদের সরিয়ে দিয়ে শহীদ পরিবারদের সম্মান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হোক।

এই সময় তার সঙ্গে এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে তারা সম্মিলিতভাবে শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করেন এবং রাঙামাটির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

 

Không có bình luận nào được tìm thấy