তাদের চার দাবি হলো- বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কুষ্টিয়া ও খুলনা মহাসড়কের স্থায়ী সংস্কারের লক্ষ্যে আগামী ১৫ দিবসের মধ্যে কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সভার আয়োজন করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসা সেবা উন্নতকরণ এবং কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সিট সার্বক্ষণিক সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে, পরিবহন পুল থেকে নিয়মিত ফিটনেসবিহীন যানবাহন অপসারণ ও চালক-সহকারী নিয়োগে নজরদারি এবং নতুন যাত্রীচাপ বিবেচনায় বাড়তি পরিবহন সংযোজন।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি তানভীর মাহমুদ মণ্ডল বলেন, স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বহন করলেও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবহন ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আজও অনেক গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা অপূর্ণ রয়ে গেছে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল শক্তি হলো এর শিক্ষার্থীরা। তাঁদের নিরাপদ যাতায়াত ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা মানে একটি উন্নত, মানবিক ও সুসংহত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা। আমরা মনে করি এসব পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীরা আরও নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাজীবন উপভোগ করতে পারবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘দাবিগুলো খুবই সুন্দর। আমরা এই দাবিগুলো অফিসিয়ালি গ্রহণ করেছি। এগুলো নিয়ে শীগ্রই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবো। সড়ক সংস্কারের সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর দেখবেন। মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসাসেবা উন্নীতকরণের বিষয়ে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়া আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একটি ফুট ওভার ব্রিজের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিবহনের বিষয়ে আমরা আবেদন করেছি। কিন্তু মন্ত্রণালয় বর্তমানে গাড়ি দিচ্ছে না।’