পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বুড়িমারী স্থলবন্দরে সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সরকারি কার্যক্রম যথারীতি চলবে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২ জুন) সকালে বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম নিয়াজ নাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে ১৪ জুন (শনিবার) পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের যৌথ মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ইতোমধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ ইমিগ্রেশন, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, ভারতীয় চ্যাংড়াবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে। এছাড়া চিঠিটি আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক মালিক সমিতি, এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন এবং ভুটানের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনকেও জানানো হয়েছে।
বুড়িমারী সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, “পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের বিশ্রাম এবং পারিবারিক সময় কাটানোর সুযোগ মিলবে।”
তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছেন বুড়িমারী স্থলবন্দরের অভিবাসন চৌকির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমাদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পুরোপুরি চালু থাকবে। পাসপোর্টধারী যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে পারাপার করতে পারবেন।”
বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাহাত হোসেন বলেন, “যেহেতু ব্যবসায়ীরা নিজেরা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই বন্দর কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে কাস্টমস অফিস খোলা থাকবে এবং পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত অব্যাহত থাকবে।”
প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এমন ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এতে ব্যবসায়ী, চালক, কাস্টমস কর্মকর্তা এবং বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মীরা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন।