close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

পড়ার ঘরে ঢুকে দাদার ধর্ষণ চেষ্টা,গ্রাম‍্য শালিস ভেস্তে গিয়ে মামলা..

Md Sohel Rana avatar   
Md Sohel Rana
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আনারুল মিয়া (৪৫) নামের এক প্রতিবেশী দাদার বিরুদ্ধে ৩ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ..

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আনারুল মিয়া (৪৫) নামের এক প্রতিবেশী দাদার বিরুদ্ধে ৩ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। 

 

উপজেলার খেরুয়াজানী ইউপির বানিয়াকাজী মন্ডলবাড়ী এলাকায় গত ২১ এপ্রিল (সোমবার) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আনারুল ওই একই এলাকার মৃত এছাহাক আলীর ছেলে। ভূক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর প্রতিবেশী আনারুল সম্পর্কে তার দাদা হন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ভূক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,ওই ছাত্রী (৯) গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নিজেদের ঘরে পড়তে বসার কিছুক্ষণ পর বিদ‍্যুৎ চলে যায়। ভূক্তভোগীর ভাষ‍্য মতে,বিদ‍্যুৎ চলে যাওয়ার পরপরই পড়ার ঘরে প্রবেশ করে অভিযুক্ত আনারুল। পরে গালে কামড় বসিয়ে কেমন জানি করতাছে,শক্ত করে প‍্যান রাখার পরে বিদ‍্যুৎ আসলেই আনারুল ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি ভূক্তভোগী  তার পরিবারের লোকজনের কাছে জানালে স্কুল ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তার দাদা জামাল স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিকসহ স্থানীয়দের কাছে গিয়ে ঘটনার বিচার দাবি করেন। ঘটনার পরের দিন রাতেই আশাদুলের মুদির দোকানে বসে বুধবার সকালে গ্রাম‍্য শালিসের সিদ্ধান্ত হয়। পরে এলাকার তিন শতাধিক লোকজনের সমন্বয়ে খিলগাতি প্রাইমারি স্কলের পিছনে আব্দুল হাইয়ের মার্কেটে গ্রাম‍্য শালিস বসিয়ে অভিযুক্তকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা ধার্য‍্য করা হয়। কিন্তু ভূক্তভোগীর পরিবার এক কোটি টাকা দাবি করলে শালিস ভেস্তে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ালে ভূক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ আসামী এলাকায় ঘুরাঘুরি করলেও পুলিশ আসামীকে ধরছেন না। 

ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে আনারুল মিয়া জানান,ধর্ষণের মত কোন ঘটনাই ঘটেনি। নাতনি হিসেবে তাকে একটু আদর করেছি এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। 

ভূক্তভোগীর প্রতিবেশী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক জানান,

ভূক্তভোগীর দাদা জামাল বিষয়টি আমাকে সহ স্থানীয়দের জানালে গ্রাম শালিস হয় কিন্তু তাতে সমাধান না হলে থানায় মামলা হয়। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিক বলেন,স্কুল ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তার দাদা ও দাদি এসে স্থানীয়ভাবে বিচার চাইলে শালিসের সিদ্ধান্ত হয়। 

স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন,এর আগেও সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল। আমার শিশুকন্যার যে সম্মানহানি হয়েছে তা ফিরিয়ে দিবে কে? আমরা টাকা চাইনা, বিচার চাই। টাকা যদি দিতেই হয়,টাকা লাগবে এক কোটি এমন দাবি করেন মেয়ের চাচা।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনা জেনেছি। এ ঘটনায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা হয়েছে। 

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator