দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর জিও নিউজ ও বিবিসি
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রাম জেলায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া গিলগিট বালতিস্তানে ১২ জন এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাতে গিয়ে একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। খাইবার পাখতুনখোয়া দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় দুজন পাইলটসহ মোট পাঁচজন মারা গেছেন।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২৮ জন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১১৬টি বাড়ি।
• খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৪টি বাড়ি আংশিক এবং ১৪টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।
• গিলগিট বালতিস্তানে ১৪টি বাড়ি আংশিক এবং ৩টি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
• আজাদ কাশ্মীরে ২৩টি বাড়ি আংশিক এবং ২৮টি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় বহু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং ব্যাপক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বহু এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
প্রতিবছর বর্ষাকালে পাকিস্তান মারাত্মক বন্যার কবলে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশটিতে মৌসুমি বৃষ্টিপাত আরও তীব্র হয়ে উঠছে এবং দুর্যোগের মাত্রা বাড়ছে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানে ১,৭০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কোটি মানুষ।
সর্বশেষ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ পাকিস্তানে নতুন করে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে, তবে প্রবল বৃষ্টি এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে ত্রাণ তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্যও আহ্বান জানানো হতে পারে।