গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (২৭ আগস্ট) রবি নদীর পানি উপচে পড়ে গুরুদ্বারটির কমপ্লেক্সের অর্ধেক অংশ ডুবে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, সেখানে তিন থেকে চার ফুট পানি জমে আছে।
এ ঘটনায় পাকিস্তান সরকার ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল অভিযোগ করে বলেন, “ভারত জলবায়ু বিপর্যয়ের রাজনীতি করছে। সিন্ধু পানি চুক্তি অনুসারে সঠিক সময়ে তথ্য না দিয়ে হঠাৎ বাঁধ খুলে দেওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।”
তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাঁধ খোলার আগে পাকিস্তানকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার তথ্যমতে, গত রোববারই ভারত পাকিস্তানকে বন্যার আগাম সতর্কতা দিয়েছিল। এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মীরে হামলার পর সিন্ধু নদ চুক্তি কার্যত স্থগিত থাকলেও এটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে নদীসংক্রান্ত প্রথম যোগাযোগ। বুধবারও নয়াদিল্লি নতুন সতর্কতা দিয়ে কাশ্মীরের নদীগুলোর প্রধান বাঁধগুলোর সব গেট খুলে দিয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, রবি, চেনাব ও সুতলেজ নদীতে অস্বাভাবিক পানি প্রবাহের কারণে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এনডিএমএ চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইনাম হায়দার মালিক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বন্যাদুর্গত এলাকায় সেনাবাহিনী, রেঞ্জার্স, রেসকিউ ১১২২ এবং পিডিএমএসহ বিভিন্ন সংস্থা যৌথভাবে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা, খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানে এ বছরের বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশেই ১৪ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ডন, গালফ নিউজ