অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন এক বিবৃতিতে জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে উভয় পক্ষই বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক চর্চা, রাজনৈতিক সংলাপ এবং নীতিগত অগ্রাধিকার বিষয়ে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা সম্ভাবনা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও কথা হয়েছে।”
বৈঠকে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এনসিপি নেতারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোতে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার সুসান রাইল বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখি এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, শিক্ষা, কৃষি ও দক্ষতা উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চাই।”
এনসিপি নেতারা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে বিশেষ করে শিক্ষা, কৃষি প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও কর্মসংস্থানের মতো খাতগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যে সংলাপ চালাচ্ছে, তা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।