চুক্তির টেবিলে বসেও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি এই ফরাসি মিডফিল্ডার। গত রাতে ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ–এর ক্লাব এএস মোনাকো তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির সময় অঝোরে কাঁদছেন পগবা। আবহসংগীতে তখন বেজে চলেছে বেদনাবিধুর এক সুর। চোখের পানি গড়িয়ে পড়েছে টেবিলেও। কিছুক্ষণ মুখ ঢেকে রাখেন হাত দিয়ে। পাশে থাকা দুজন—সম্ভবত একজন তাঁর ঘনিষ্ঠজন, আরেকজন মোনাকোর কর্মকর্তা—তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘পল পগবার জন্য এটি এক আবেগঘন মুহূর্ত।’
আসলে এই কান্নার পেছনে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ এক যন্ত্রণা ও সংগ্রামের গল্প। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় সব ধরনের ফুটবল থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হন পগবা। তখন তিনি খেলছিলেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর ওপর ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিলের পর সেই শাস্তি কমে দাঁড়ায় ১৮ মাসে।
তবে ততদিনে জুভেন্টাস তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। পেশাদার ফুটবলে ফেরা নিয়ে অনেকেই তখন সন্দিহান ছিলেন। কেউ কেউ তো ধরে নিয়েছিলেন, হয়তো আর ফিরতেই পারবেন না। কিন্তু হাল ছাড়েননি পগবা। মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন।
ফ্রান্সের এক টিভি চ্যানেলকে সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন,
“আমি মাঠে ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার।”
অবশেষে সময়টা এল। এএস মোনাকো তাঁকে দুই বছরের জন্য দলে ভেড়াল। নতুন ক্লাবে নতুন স্বপ্নের শুরু। আর সেই আবেগই ধরে রাখতে পারেননি সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও জুভেন্টাস মিডফিল্ডার।