close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

অসাবধানতায় শিশুর মৃত্যু বাড়ছে: খোলা ডোবা, নালা ও পুকুর হয়ে উঠছে মৃত্যুফাঁদ"..

Md.Shamimul Haque avatar   
Md.Shamimul Haque
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। অধিকাংশ মৃত্যুর পেছনে রয়েছে একটি সাধারণ কারণ—অরক্ষিত খোলা ডোবা, নালা বা পুকুর।..

 

 

 

 

মো.শামীমুল হক(চাতক)
প্রতিনিধি  নাগরপুর (টাংগাইল) 


সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। অধিকাংশ মৃত্যুর পেছনে রয়েছে একটি সাধারণ কারণ—অরক্ষিত খোলা ডোবা, নালা বা পুকুর। শিশুদের খেলাধুলা কিংবা চলাফেরার সময় অসতর্কভাবে এসব স্থানে পড়ে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনা বেড়েই চলেছে।

গ্রাম হোক বা শহর, প্রায় সব জায়গাতেই দেখা যায় খোলা ড্রেন, অরক্ষিত পুকুর কিংবা পরিত্যক্ত জলাশয়। এসব স্থানে নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নেই কোনো সতর্কতা চিহ্ন। ফলে শিশুদের পক্ষে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা ব্যস্ততায় শিশুদের একা খেলতে দেন, কিংবা শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যাওয়া ঠেকাতে পারেন না। এসব অবহেলার মাশুল দিতে হচ্ছে অকালে শিশুর জীবন হারিয়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে:

শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় পর্যায়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

অরক্ষিত পুকুর, ডোবা, নালাগুলোকে ঘিরে রাখা কিংবা প্রয়োজন অনুযায়ী ভরাট করা উচিত।

বাসাবাড়ির আশপাশে বা রাস্তাঘাটে যেসব স্থানে পানি জমে থাকে, তা দ্রুত পরিষ্কার বা কভার করতে হবে।

শিশুদের সঙ্গে বাইরে বের হলে সবসময় নজরদারিতে রাখা জরুরি।


সচেতনতামূলক করণীয়:
১।যেকোনো অরক্ষিত জলাশয়ের পাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো।
২। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে দ্রুত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৩।অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া।
৪। স্থানীয়ভাবে কমিউনিটি উদ্যোগে (বাঁশের বেড়া, জাল বসানো) প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

একটি অসতর্ক মুহূর্তে একটি পরিবার সব হারিয়ে ফেলে। শিশুর নিরাপত্তা শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো সমাজের দায়িত্ব। আসুন, একসঙ্গে সচেতন হই—প্রতিটি শিশুর নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য।

 

 

لم يتم العثور على تعليقات