close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

অর্থের অভাবে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর পড়ালেখার দায়িত্ব নিল ‘ইগনাইট মিরসরাই’ ..

M.A Hossain avatar   
M.A Hossain
****

অর্থের অভাবে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তারের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলো সামাজিক সংগঠন ‘ইগনাইট মিরসরাই’। সানজিদা আক্তার মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। অর্থের অভাবে ৭ম শ্রেনীর পর আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তার। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন হওয়ার পর সানাজিদা আক্তারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সংগঠনটি। তারা সানজিদার বিদ্যালয়ের ভর্তি ফি, বেতন, পরীক্ষার ফিসহ সকল ব্যয়ভার গ্রহন করেছে। এছাড়া তার প্রয়োজনীয় সব ধরনের শিক্ষা উপকরণ  সানজিদার হাতে তুলে দিয়েছে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আশরাফ উদ্দিন, ইগনাইট মিরসরাই’র প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট নাজমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরশেদ আহমেদ, সদস্য আজিমুল হাসান প্রমুখ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মহি উদ্দিন বলেন, সংবাদ মাধ্যমে সানজিদা আক্তারের পড়াশোনার বিষয়ে সংবাদটি চোখে পড়ার সাথে সাথে আমাদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার শিক্ষার ব্যয় বহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। অবশেষে আমরা তার মায়ের হাতে বিদ্যালয়ের ভর্তি ফি, বেতন, পরীক্ষার ফি বাবদ নগদ টাকা তুলে দিয়েছি। এছাড়া চলতি বছরের জন্য প্রয়োজনীয় সকল শিক্ষা উপকরণও আমরা দিয়েছি। আমাদের এই সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।

ইগনাইট মিরসরাই’র প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট নাজমুল হাসান বলেন, আমরা মিরসরাইতে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করছি। এই যুগে এসে অর্থের অভাবে কোন শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে সেটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। শুধু সানজিদা আক্তার নয় মিরসরাইয়ে অর্থের অভাবে কেউ যদি পড়াশোনা করতে না পারে তার দায়িত্ব ইগনাইট মিরসরাই’ নেবে।

প্রসঙ্গত, সানজিদা আক্তারের বাবা লিভার ক্যান্সারে মারা গেছেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সানজিদা আক্তার সবার ছোট। বড় বোনের বিয়ে হয়। একমাত্র ভাই খৈয়াছড়া বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করে উপর্জিত আয় দিয়ে সংসার চলে তাদের।

لم يتم العثور على تعليقات


News Card Generator