close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

অপরাধ

ShahidulIslamkhokan avatar   
ShahidulIslamkhokan
মতলব উত্তরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাছ শিকারের অভিযোগ।

মতলব উত্তরে মৎস্য অফিসকে ম্যানেজ করে  মাছ শিকারের অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মৎস্য অফিসকে ম্যানেজ করে চলছে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার। এমনই অভিযোগ মতলব উত্তর উপজেলা উঠেছে মৎস্য অফিসের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ৯০' কিলোমিটার পর্যন্ত অভায়শ্রমে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এর মধ্যে ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার অঞ্চলে দেখা যায় অহরহ মাছ শিকার। 

দিনের আলোয় নদীতে মাছ ধরার দৃশ্য তুলনামূলক ভাবে কম দেখা গেলেও রাতের আঁধারে সরকার ঘোষিত অভয়াশ্রমের মেঘনা থাকছে মৎস্য শিকারি জেলেদের দখলে। ভোরের আলোয় মেঘনা নদীর তীরে সারি সারি নৌকায় ভর্তি মাছ আর ভিজা জাল। এসব মাছ বিক্রি করা হচ্ছে আড়তগুলোতে।

শনিবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার ষাটনল মালোপাড়া সংলগ্ন বাবু বাজার, দুপুরে আমিরাবাদ মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা গেছে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। নদীতে  জেলেরা নৌকায় জেলেরা ভিজাজাল পরিষ্কার করছে আপন খেয়ালে, কেউ কেউ এখনো নদীতে মাছ ধরায় ব্যস্ত রয়েছে। মাছের আড়তে চলছে পাইকারি বেচাকিনার মহাউৎসব। নদীতে কিছু ট্রলারে পাইকাররা মাছ নিয়ে উঠছে নিজ নিজ বাজারে। পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের ভিড়, অটোগাড়িতে ঝড়িঝুড়ি জাটকা মাছ। অস্থায়ী এই হাট নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। 
সরেজমিনে উপজেলার  আমিরাবাদ মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা যায়, আড়তে অসংখ্য পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতার কোলাহল। মাছ বেচাকেনার দামদরের কাজে ব্যস্ত সবাই। খানিকটা দূরে অপেক্ষমাণ কয়েকটি পিকআপ ভ্যান এবং নদীরপাড়ে ট্রলার। মাছ নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার অপেক্ষায়। একটি ঘরে বরফের স্তুপ। মাছগুলো বরফজাত করার জন্য যা প্রতিদিন সকালে মজুদ করা হয়। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মতলব উত্তরের একাধিক জেলেরা জানান, আমরা মৎস্য অফিসকে ম্যানেজ করে নৌকা প্রতি ২০ হাজার টাকা দিয়ে টোকেন নিয়েছি, টোকেন ছাড়া নদীতে মাছ ধরতে নামলে আমাদের জেল জরিমানা করে।

উপজেলার ষাটনল এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা ফুলচান বর্মনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, জাটকা অঞ্চলের জেলেদের পর্যাপ্ত সুবিধা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ সময়মতো জেলেদের দিতে পারলে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সহজতর হতো।

মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী  জানান, আমার ফোর্স কম তাই রাতে অভিযান পরিচালনা করতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমরা নিয়মিত অভিযন পরিচালনা করছি।
এখলাসপুর, আমিরাবাদ, বাবুবাজার, এবং কালিরবাজার আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি'রা বলেন, জেলেরা আছে খুবই অভাব অনটনে। মাছ ধরে চলে তাদের সংসার। তাই আমরা সবকিছু ম্যানেজ করেই বাজার চালিয়ে যাচ্ছি।

মোহনপুর কোস্টগার্ড ক্যাম্পে কথা হলে তারা জানায়,  মূলত আমরা তো নৌ-পুলিশ ফাঁড়িকে সাহায্য করতে আসছি।
মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, আমরা নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যারা আইন অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও নিচ্ছি। জেলেরা আমাদের নামে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা সঠিক নয়। 
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে তবে মৎস্য বিভাগকে আরও আন্তরিক হতে হবে।

ছবি ক্যাপশন :
মতলব উত্তরে মেঘনার অভয়াশ্রমে মৎস্য অফিসকে ম্যানেজ করে নদীতে চলছে মাছ শিকার।

Walang nakitang komento